

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের যে প্রত্যাশা ছিল- সে অনুসারে কাজ করা সম্ভব হয়নি। দেশে সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র, মিডিয়া ও সুশীল সমাজ এবং ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মধ্যে যে পারস্পরিক সহযোগিতা রয়েছে তা অটুট রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর চাপ। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার চাইলেও অনেক কিছু করা সম্ভব হয়নি।
আজ রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমের স্বনিয়ন্ত্রণ ও অভিযোগ ব্যবস্থাপনা’ নিয়ে গোলটেবিলে বৈঠকে এসব কথা বলেন তথ্য উপদেষ্টা।
মাহফুজ আলম বলেন, গণমাধ্যমকে সব গোষ্ঠী স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবে এসবই নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা ও ঐকমত্যের ওপর।
তিনি আরও বলেন, আমলারা এখন পরবর্তী সরকারের অপেক্ষায় আছেন। আর আমি অপেক্ষায় আছি, কখন নেমে যাব। যে কোনো সময়ে নেমে যেতে পারি, তাই পদত্যাগের দাবি করে কোনো লাভ নেই।
মাহফুজ বলেন, আমি খুব কম সময়ের জন্য দায়িত্ব নিয়েছি। স্বল্প সময়ে যতটুকু করা সম্ভব সেটা করছি। তবে আমাদের বয়স ও অভিজ্ঞতা কম। জনগণ নিশ্চয়ই এজন্য আমাদের ক্ষমা করবে।
তিনি বলেন, সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যে কোনো মূল্যে এই আইন বাস্তবায়ন করা হবে।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, অভিজ্ঞতায় দেখেছি, বাংলাদেশে গোষ্ঠী স্বার্থের জন্য সবাই কাজ করে। তারা জাতীয় স্বার্থ দেখে না। সেকারণে আমাদের হতাশা তৈরি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিজিএস প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান।