সাবেক এমপিকে ৬ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হলো।


নড়াইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বিএম কবিরুল হক মুক্তিসহ দুইজনের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামি হলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মো. মোজাম্মেল হক (৬৭)।

এদিন আসামিদের আদালতে উপস্থিত করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুস সালাম। রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী। অন্যদিকে আসামির রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. কায়েস আহমেদ অর্নব। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন বিচারক।

এর আগে গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর নিকেতন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে গুলশান থানা পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর বেলা দেড়টার দিকে গুলশান থানাধীন ডা. ফজলে রাব্বী পার্কের দক্ষিণ পাশে সেতুর ওপর নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন। মিছিলে তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে উসকানিমূলক স্লোগান দেন। এ সময় রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা চালিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে বিক্ষোভকারীরা। এ ঘটনায় গুলশান থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. মাহাবুব হোসাইন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

কবিরুল হক মুক্তি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে কলস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। পরে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত তিনটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হন তিনি। নিজ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে হামিদপুর ইউনিয়নের হাসিম হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি তিনি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

Leave a Reply

Scroll to Top