
বাংলাদেশ সরকার ও টিকটকের যৌথ উদ্যোগে স্টেম ফিড ঘোষণা করেছে উদ্যোক্তারা। অ্যাপে এটি নতুন ফিড বা ডিজিটাল স্পেস; যেখানে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত বিষয়ের কনটেন্ট পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের কমিউনিটির জন্য ডিজিটাল মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আপের ভেতরে স্টেম ফিড হলো সুনির্দিষ্ট ও আলাদা ডিজিটাল স্পেস, যেখানে শুধু স্টেম অন্তর্ভুক্ত চারটি বিষয়ে কনটেন্ট দেখা যায়।
সারাদেশের শিক্ষার্থীরা এখন ভালো মানের ও নির্ভরযোগ্য স্টেম কনটেন্ট খুঁজে পাবে এই ফিডে। হ্যাশট্যাগ সক্রিয় করা হয়েছে স্টেম বিষয়ে, যা ব্যবহার করে কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও শিক্ষাবিদরা স্টেম কনটেন্ট তৈরি করতে পারবে। স্থানীয় ভাষায় এসব কনটেন্ট পাওয়া যাবে।
অ্যাপে শিক্ষামূলক উদ্যোগ শহর, গ্রামাঞ্চল ও সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলে শিক্ষাদানের সুযোগ সৃষ্টিতে প্রযুক্তি কীভাবে সহায়ক শক্তি, তা বাস্তবায়নে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এ প্রসঙ্গে বলেন, দেশের তরুণরা কৌতূহলী ও সৃজনশীল। আমরা যদি এমন সৃজনশীলতাকে কোনো নিরাপদ আর নির্ভরযোগ্য মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত করতে পারি, তখন সমস্যার সমাধান ও উদ্ভাবনের চর্চা করা সম্ভব হয়। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে স্টেম ফিডের মতো টুলস শিক্ষা পদ্ধতিকে আকর্ষণীয় করবে। অন্যদিকে, স্থানীয় ভাষায় মানসম্পন্ন শিক্ষা পৌঁছে দিতে পারে।
টিকটকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের হেড অব পাবলিক পলিসি ও গভর্নমেন্ট রিলেশন্স ফেরদৌস মোত্তাকিন বলেন, নতুন উদ্যোগে স্টেম ফিড বাংলাদেশে কমিউনিটির জন্য শিক্ষাকে সহজ, আকর্ষণীয় ও নিরাপদ করবে। শিক্ষক, অভিভাবক ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করে নিশ্চিত করতে চাই, এই প্ল্যাটফর্ম ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ও তরুণদের ক্ষমতায়নে সহায়ক হবে।
নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকের জন্য ইতোমধ্যে কয়েকটি টুল উন্নয়ন করা হয়েছে। ফ্যামিলি পেয়ারিং ফিচার, টাইম-অ্যাওয়ে শিডিউল, টিন নেটওয়ার্ক ভিজিবিলিটি ও নিরাপত্তার জন্য সতর্কতামূলক ফিচার– এমন কিছু উদাহরণ উল্লেখযোগ্য।
সুস্থধারায় ডিজিটাল অভ্যাস গড়ে তুলতে এসব ফিচার সহায়ক। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের গ্লোবাল কমিউনিটি গাইডলাইন অনুযায়ী স্টেম ফিড পরিচালিত। জানা গেছে, এই ফিডের সব কনটেন্ট শুধু শিক্ষামূলক নয়; বরং নির্ভরযোগ্য ওবয়স-উপযোগী বিষয়বস্তু। তাই শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও নীতিনির্ধারকরা প্ল্যাটফর্মটি
ব্যবহার করতে পারবেন।