শরতের এ সময়টাতে আকাশ পরিষ্কার থাকলেই পঞ্চগড় জেলা শহরসহ তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দেখা মেলে হিমালয়ের পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার। এর আগে ২ সেপ্টেম্বরও উত্তরের এই জনপদে দেখা মিলেছিল কাঞ্চনজঙ্ঘার। সেদিনের ছবি দেখে এরপর কয়েক দিন পঞ্চগড়ে এসে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা না মেলায় আশাহত হয়ে ফিরেছিলেন অনেক পর্যটক।
অবশেষে আজ ভোর থেকে স্পষ্ট হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘার দুর্লভ দৃশ্য। দুপুর পর্যন্ত সূর্যের আলোর তারতম্যে রং বদলেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এই দৃশ্যের দেখা মিলছে পঞ্চগড় শহরসহ তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে।
আজ সকালে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পর্যটকেরা পঞ্চগড় জেলা শহরসংলগ্ন করতোয়া সেতু থেকে উপভোগ করছেন কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য। পঞ্চগড় শহর থেকে তেঁতুলিয়া যাওয়ার পথে অনেককেই গাড়ি থামিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার ছবি তুলছিলেন। কেউ কেউ যাচ্ছেন মহানন্দা নদীর তীরে তেঁতুলিয়ার ডাকবাংলোতে।
আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার টিটিপাড়া এলাকায় পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার ছবি তুলছিলেন এক যুবক। নাম আদনান হাবিব (৩০)। তিনি একটি ওষুধ প্রস্তুত ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘পঞ্চগড় শহর থেকে তেঁতুলিয়ার দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ডান দিকের আকাশে চোখে পড়ল কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য। না থেমে পারলাম না। এ জন্য থেমে কয়েকটা ছবি তুললাম, ভিডিও করলাম। দৃশ্যটা অনেক ভালো লাগছে। এ বছর এর আগেও নাকি একদিন দেখা গেছে; কিন্তু আমি দেখতে পারিনি।’
টিটিপাড়া এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা নাজির হোসেন (৬৩) বলেন, ‘আইজ আকাশটা খুপে পরিষ্কার, সকাল তকা পাহাড়খান (কাঞ্চনজঙ্ঘা) দেখা যাছে। খুপে সুন্দর নাগেছে। বহু লোক আসে ছবি তুলে নিয়ে গেল। এই পাহাড় দেখিবা বহু দূরদূরান্ত তকা লোক আচ্চে।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, তেঁতুলিয়ায় আজ সকাল নয়টায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৫৭ শতাংশ। গতকাল বুধবার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হওয়ায় কয়েক দিনের মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আজ অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। এ জন্য সকাল থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে। তবে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে আবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে তিনি জানান।
