রেখা: অমিতাভের সঙ্গে তুলনা করা যায় না

অমিতাভ বচ্চন ও রেখা

বলিউডের গসিপ ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেমের গল্পগুলোর একটি অমিতাভ বচ্চন ও রেখার সম্পর্ক। ১৯৮১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সিলসিলা’ ছবির শুটিংয়ের সময় তাদের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। যদিও দু’জনেই কখনও প্রকাশ্যে সম্পর্ক স্বীকার করেননি। তবে তাদের প্রেমের রহস্য আজও দর্শকদের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু।

সিমি গারেওয়ালের অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী রেখা একবার সাক্ষাৎকার দেন, যেখানে তিনি স্বীকার করেন অমিতাভের সামনে দাঁড়ানোই তার জন্য ছিল এক ভয়ংকর রকমের চাপের বিষয়।

রেখা বলেন, “অমিতাভ বচ্চনের সামনে দাঁড়ানো মোটেই সহজ ছিল না। তখন ‘দিওয়ার’ সদ্য মুক্তি পেয়েছে- তিনি তখন দেশের ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’। তার উপস্থিতি আর ব্যক্তিত্বে আমি মুগ্ধ ছিলাম।”


তিনি স্মৃতিচারণা করে জানান, একদিন শুটিংয়ের সময় নার্ভাস হয়ে নিজের সংলাপ ভুলে যান তিনি। তখন অমিতাভ তার গম্ভীর কণ্ঠে বলেন, সুনিয়ে জারা ডায়লগ ইয়াদ কার লিজিয়ে গা। এই সংলাপ শুনেই তিনি লজ্জায় প্রায় কেঁপে ওঠেন।

রেখা জানান ১৯৭৬ সালের ‘দো আনজানে’ সিনেমায় অমিতাভের সঙ্গে কাজ করেই তার অভিনয়জীবনে বড় পরিবর্তন আসে। অভিনেতার নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব দেখে তিনি নিজের কাজের প্রতি নতুনভাবে মনোযোগী হন। প্রতিদিন সকাল ছয়টায় সেটে পৌঁছাতেন, চরিত্রের সূক্ষ্ম দিকগুলো নিয়ে কাজ করতেন- যা আগে তিনি করতেন না।

রেখা বলেন, “অমিতাভ বচ্চনের মতো কাউকে আমি আগে দেখিনি। এত ভালো গুণ কীভাবে একজন মানুষের মধ্যে থাকতে পারে! আমি বোকা নই, বুঝতে পারি কী ভালো।”


ব্যক্তিগত জীবনে রেখা ১৯৯০ সালে ব্যবসায়ী মুকেশ আগরওয়ালকে বিয়ে করেছিলেন, কিন্তু বছর না ঘুরতেই তিনি আত্মহত্যা করেন। অন্যদিকে, অমিতাভ ১৯৭৩ সালেই জয়া বচ্চনকে বিয়ে করেন। তাঁদের দুই সন্তান- অভিষেক ও শ্বেতা বচ্চন।

অমিতাভ ও রেখা একসঙ্গে কাজ করেছেন একাধিক বিখ্যাত ছবিতে-সেগুলোর মধ্যে- ‘দো আঞ্জানে’, ‘মি. নাটওয়ারলাল’, ‘সুহাগ’, ‘মুকাদ্দার কা সিকান্দর’ এবং ‘সিলসিলা’, যেখানে তাঁদের অনস্ক্রিন রসায়ন দর্শকদের আজও মুগ্ধ করে।

রেখার মতে, অমিতাভ বচ্চনের পেশাদারিত্ব ও শৃঙ্খলাই তাকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছিল। আর সেই প্রভাব আজও তাঁর জীবনে অমলিন। সূত্র: এনডিটিভি।

Leave a Reply

Scroll to Top