
শৈশব থেকেই শিশুদের আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া বিধিবিধান পালনে অভ্যস্ত করে তোলা উচিত। আল্লাহর বিধানের মধ্যে অন্যতম হলো নামাজ। নামাজ মানুষকে সব ধরনের অশ্লীলতা থেকে দূরে। এ বিষয়ে আল্লাহতায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। তোমরা যা করো আল্লাহ তা জানেন। সুরা আনকাবুত : ৪৫
শিশুকে নামাজের প্রতি যত্নবান করতে শৈশব থেকে এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। সন্তানকে নামাজের অভ্যাস করানোর ক্ষেত্রে আপনার নিয়ত কেমন হবে বা যেমন হওয়া চাই।
* আল্লাহতায়ালার ইবাদত ও তার আদেশ পালন।
* অধীনদের ব্যাপারে আল্লাহর নিকট জবাবদিহিতার ভয়।
* নামাজ যেন সন্তানদের অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।
* আদেশ, ঘুম থেকে জাগ্রতকরণ, শাস্তিদান, পুরস্কার প্রদান ইত্যাদির মাধ্যমে একজন মুসলিমকে নামাজের মতো মৌলিক প্রয়োজন পূরণে সহযোগিতা করার সওয়াব লাভ।
* একটি নেক সন্তান লাভ, যে মৃত্যুর পরও দোয়ায় আপনার জন্য হাত তুলবে।
* একজন মানুষকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচানোর নেকি অর্জন। আর সেই মানুষটি কে? সে যে আপনারই কলিজার টুকরো ছেলে, আপনারই প্রাণপ্রিয় মেয়ে!
* কল্যাণের প্রতি পথনির্দেশের পুণ্য লাভ। হজরত আবু মাসউদ আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কাউকে কল্যাণকর কাজের পথনির্দেশ করবে, তার জন্যও কার্যসম্পাদনকারীর ন্যায় সওয়াব রয়েছে।’ সহিহ মুসলিম : ১৮৯৩
* আপনার সন্তান যেন জান্নাতে আপনার সঙ্গে থাকে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যারা ইমান এনেছে আর তাদের বংশধরও তাদের অনুসরণ করেছে, আমি তাদের পরস্পরকে মিলিত করে দেব। আমি তাদের আমল থেকে কিছুই হ্রাস করব না। প্রত্যেক ব্যক্তিই নিজ নিজ কর্মের জন্য দায়বদ্ধ।’ সুরা তুর : ২১
* পাকাপোক্ত ইবাদতকারী, আল্লাহর সঙ্গে নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ এবং দ্বীন উম্মাহর উপকার সাধনকারী একটি মুমিন প্রজন্ম তৈরি করে যাওয়ার সওয়াব লাভ।
* নবীদের অনুসরণ। আল্লাহতায়ালা হজরত ইসমাইল (আ.) সম্পর্কে বলেন, ‘সে তার পরিজনকে নামাজ আর জাকাতের আদেশ করত। তার প্রতিপালকের কাছে সে ছিল পছন্দনীয় ব্যক্তি।’ সুরা মারইয়াম : ৫৫