ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশটিতে সক্রিয় করোনা রোগী ১ হাজার ২০০ শতাংশের চেয়ে বেশি বেড়েছে।
শনিবার (৩১ মে) সকাল পর্যন্ত ভারতে ৩ হাজার ৩৯৫ সক্রিয় করোনাভাইরাস রোগী ছিলেন
রোববার (১ জুন) সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩১ মে পর্যন্ত ভারতে সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে।
ছাড়া মহারাষ্ট্র ৪৬৭, দিল্লিতে ৩৭৫, গুজরাটে ২৬৫, কর্ণাটকে ২৩৪, পশ্চিমবঙ্গে ২০৫, তামিলনাড়ুতে ১৮৫ এবং উত্তরপ্রদেশে ১১৭ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন। অন্যদিকে রাজস্থানে ৬০, পুদুচেরিতে ৪১, হরিয়ানায় ২৬, অন্ধ্রপ্রদেশে ১৭ এবং মধ্যপ্রদেশে ১৬ সক্রিয় রোগীর তথ্য জানা গেছে। চলতি বছরে ভারতে কোভিডে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতে কোভিড রোগী বাড়ার কারণ কী?
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, পশ্চিম এবং দক্ষিণে করোনার রোগীদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে দেখা গেছে, নতুন রূপগুলো ওমিক্রনের সাবভেরিয়েন্ট।
আইসিএমআর প্রধান ড. রাজীব বেহেল বলেন, এই সাবভেরিয়েন্টগুলোই সংক্রমণ বৃদ্ধির মূল কারণ। তিনি জানান, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রথমে দক্ষিণ ভারতে, পরের পশ্চিম ভারত এবং এখন উত্তর ভারতেও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সব আক্রান্ত সমন্বিত রোগ নজরদারি কর্মসূচির (আইডিএসপি) মাধ্যমে নজর রাখা হচ্ছে।
ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে ৩ হাজার ৩৯৫ সক্রিয় করোনাভাইরাস রোগী ছিলেন। যা গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ১ হাজার ২০০ শতাংশ বেশি। গত ২২ মে ভারতে সক্রিয় করোনা রোগী ছিল ২৫৭। আর ২৬ মে ছিল ১ হাজার ১০ জন।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার থেকে শনিবারের মধ্যে দেশটিতে ৬৮৫ জন নতুন করোনাভাইরাস আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলো হচ্ছে কেরালা, মহারাষ্ট্র ও দিল্লি। কেরালায় শুক্রবার ১৮৯ জন নতুন কোভিড আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এই রাজ্যে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৩৩৬ জন।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত সংক্রমণের তীব্রতা খুবই কম, তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তার মতে, এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ রোগী হালকা উপসর্গ নিয়ে সংক্রমিত হচ্ছেন, আর তাই জটিল রোগীর সংখ্যা খুবই কম। তবে তিনি বলেন, সতর্ক থাকতে হবে এবং প্রস্তুত থাকাই সবচেয়ে ভালো।
২০২০ সালে শুরু হওয়া এই মহামারিতে এখন পর্যন্ত ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৪ কোটি। মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড় ৫ লাখ মানুষের। বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিনেশন প্রকল্প-এর আওতায় ভারতের ৭২ কোটি মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশের তরুণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ‘ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক’ স্থাপনের ওপর…