

বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে তৃতীয় দফায় হরতাল কর্মসূচি পালন করছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার সকালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মিছিল করেন তাঁরা। এ ছাড়া হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন নেতা-কর্মীরা।
বাগেরহাটে হরতাল কর্মসূচির কারণে দূরপাল্লার ও অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল বন্ধ আছে। তবে খোলা আছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আঞ্চলিক সড়ক। সেখানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে। অন্যদিকে আওতামুক্ত থাকায় বিভিন্ন সড়কে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও রিকশা চলাচল করছে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম বলেন, ‘জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমরা শুধু মহাসড়কে হরতাল করছি। ইজিবাইক, রিকশা, মোটরসাইকেলসহ দুই চাকার সব যান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হরতালের আওতামুক্ত আছে। এসব কারণে আজকের হরতালে জনগণের ভোগান্তি নেই।’
এদিকে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা বলছেন, চারটি আসন বহাল রেখে বাগেরহাটবাসীর ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। সরকারের কাছে এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, ‘চারটি আসন বাগেরহাটবাসীর ন্যায্য দাবি। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এ বিষয়ে আমরা উচ্চ আদালতে শিগগিরই রিট করব। আশা করি, আদালত আমাদের কাঙ্ক্ষিত প্রতিকার দেবেন।’
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সকাল থেকে সন্ধ্যা এবং মঙ্গল ও বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল পালন করা হবে। এর আগে দুই দফা হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয় নির্বাচন কমিশন। এর পর থেকেই বাগেরহাটবাসীর ব্যানারে হরতাল-অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশগ্রহণ করেন তাঁরা। তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখেই চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাসে গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা।
চূড়ান্ত গেজেটে ঘোষিত আসনগুলোর সীমানা হলো—বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। এর আগের আসনগুলো হলো—বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা), বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।