

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আবদুল জব্বার মোড়ে ওই মানববন্ধন করেন ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম নিয়মিত করার দাবিও জানান।
মানববন্ধন চলাকালীন শিক্ষার্থীরা ‘প্রশাসনের কালক্ষেপণ, মানি না মানব না’; ‘প্রশাসনের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘বহিরাগতদের হামলার, বিচার চাই, বিচার চাই’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন। পাশাপাশি তাঁরা ‘বহিরাগত হামলার বিচার চাই, দ্রুত একাডেমিক কার্যক্রম চালু করা হোক, আর কত অপেক্ষা, আর কত কালক্ষেপণ’ প্রভৃতি লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানান। পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী শিবলী সাদী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছিল, আমরা একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত, অর্থাৎ ডিভিএম, কম্বাইন্ড এবং বিএসসি ইন অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি—তিনটি ডিগ্রি চালু রাখার সিদ্ধান্ত মেনে নিলে সিন্ডিকেট সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। আমরা গত সোমবার কিছু শর্ত সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। এরপরও প্রশাসনের কালক্ষেপণের বিষয়টি আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। দ্রুত হামলা বিচার ও বিশ্ববিদ্যালয় চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবিতে আজকের এ কর্মসূচি।’
গত ৩১ আগস্ট রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ডিগ্রি চালুর দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জরুরি সিন্ডিকেট সভা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। শিক্ষার্থীদের ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী হল ছেড়ে যাননি। এর পর থেকেই স্থবির হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম।