

চলতি বছর চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ফ্রেড রামসডেল। তবে তিনি হয়তো এখনো জানেনই না যে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।কারণ বড় এই সুসংবাদ এখনো তার পর্যন্ত পৌঁছানো যায়নি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন বিজ্ঞানী ফ্রেড র্যামসডেল যিনি বিজ্ঞান ও জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখার এক অনন্য উদাহরণ। তবে এবার সেই ভারসাম্যই তাকে “অফ দ্য গ্রিড” করে ফেলেছে—এমন পর্যায়ে যে, নোবেল কমিটিও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি!
চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশেষ অবদান রাখায় এ বছর নোবেল পান তিনজন। নোবেলপ্রাপ্তরা হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারি ই ব্রানকো ও ফ্রেড রামসডেল এবং জাপানের শিমন সাকাগুচি।
র্যামসডেল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহোর পাহাড়ি অঞ্চলে ট্রেকিংয়ে আছেন, পুরোপুরি ডিজিটাল ডিটক্সে। তার ল্যাব সোসোমা বায়োথেরাপটিক্স এর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘তিনি এখন নিজের সেরা জীবন কাটাচ্ছেন — কিন্তু পৃথিবী তাকে খুঁজে পাচ্ছে না।’
ডিজিটাল ডিটক্স মানে হচ্ছে, ডিজিটাল দুনিয়া থেকে কিছু সময়ের জন্য নিজেকের সরিয়ে নেওয়া।
র্যামসডেলের বন্ধু ও সহকর্মী জেফ্রি ব্লুস্টোন বলেন, ‘আমি নিজেও ওর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, কিন্তু পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে, ব্যাককান্ট্রিতে কোথাও ট্রেকিংয়ে গেছে।’
নোবেল কমিটিও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি অন্য মার্কিন বিজ্ঞানী মেরি ব্রানকোর সঙ্গেও প্রথমে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি— কারণ যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের সঙ্গে স্টকহোমের সময়ের পার্থক্য ৯ ঘণ্টা। পরে তারা যোগাযোগ করতে সক্ষম হন ।
র্যামসডেলের ব্যাপারে নোবেল কমিটির সেক্রেটারি-জেনারেল থমাস পার্লমান মজার ছলে বলেছেন, ‘তাকে যদি কেউ দেখেন, দয়া করে খবরটা জানিয়ে দিন — তিনি এখন নোবেলজয়ী!’