ডিমে সামান্য উর্ধ্বগতি

 

রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে দামের উঠানামা থাকলেও গেলো এক সপ্তাহে কোনো পণ্যের দামই তেমন বাড়েনি। তবে কিছুটা বেড়েছে ডিমের দাম। ডিমের দাম ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। কিছুটা কমেছে মুরগির দাম, উত্তাপ নেই কাঁচাবাজারেও।

আজ (শুক্রবার, ২৩ মে) কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। মুরগির বাজারে ক্রেতাও কমের কথা বলছে বিক্রেতারা। বয়লার মুরগির কেজি ১৬০ টাকা, আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি।

বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘কোরবানির সময় চলে আসছে। আবার গরমের কারণে বাজারে বেচাকেনা অনেক কম। মুরগির দাম এখন কম বাজারে।’

তবে গেলো সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে ডিমের দাম। ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। গত সপ্তাহে ডিমের ডজন ছিল ১২০ টাকা। সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিমের উৎপাদন কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে।

বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আপাতত বাড়তিও নাই, কমতিও নাই। বিগত ১৫ দিন হলে একই রেটে আছে। অনেক লোকই বলছে দাম কমাতে কিন্তু আমরা তো আড়তের দাম আর কমাতে পারি না। ওখান থেকে বাড়িয়েছে সেজন্য আমাদেরও বাড়াইতে হয়েছে।’

আর সবজির বাজারে প্রভাব ফেলেছে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি, নষ্ট হচ্ছে সবজি। তবে দামে কোনো উত্তাপ নেই।

আলু, পেঁয়াজ, মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা করে। পটল, ঢেঁড়স, কাঁচা কলার কেজি বিক্রি করছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা করে। কাঁচা সবজির দাম নিয়ে স্বস্তিতে ক্রেতারা।

ক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘যা নিচ্ছি তাই এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকার নিচে। ২০ টাকাতেও অনেক সবজি পাওয়া যাচ্ছে।’

বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘বাজারে এখন আমদানি বেশি সেজন্য দাম কম। আবার বাজারে আমদানি কমলে দাম বেশি হবে।’

মাছের দামও অপরিবর্তিত। মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানি সামনে থাকায় বেশি করে মাছ কিনছে না কেউ। ক্রেতাদের আনাগোনা কম।

Scroll to Top