

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোট গ্রহণে অসংগতিসহ নানা অভিযোগ তুলে জাকসু নির্বাচন বর্জন করছে ছাত্রদল। নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন (বৈশাখী)।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে মওলানা ভাসানী হলের অতিথিকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বর্জনের এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তানজিলা হোসাইন অভিযোগ করেন, ভোট দেওয়ার সময় ফজিলাতুন্নেসা হলে আঙুলে দেওয়া কালি মুছে যাচ্ছিল। একটি ব্যালট ফ্লোরে পাওয়া গেছে। এসব কারণে দুই ঘণ্টা নির্বাচন বন্ধ ছিল। এ ছাড়া একটি হলে এ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাজউদ্দীন হলে ভোটার লিস্টে ছবি না থাকায় ভোট বন্ধ ছিল। জামায়াত নেতার প্রতিষ্ঠান থেকে ছাপানো ব্যালটে ভোট হচ্ছে। সব হলে ছাত্রদলের প্যানেলের এজেন্টদের থাকতে দেওয়া হয়নি।
অতিরিক্ত ব্যালট ছাপার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তানজিলা হোসাইন বলেন, ‘আমাদের প্রশ্ন, জামায়াত নেতার কোম্পানি থেকে ছাপানো ব্যালট শতকরা ১০-২০ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যালট শিবিরকে দেওয়া হয়েছে কি না? হলগুলোতে আমাদের প্রার্থী ও এজেন্টদের বাধা দিয়ে ওই জাল ব্যালট দিয়ে ভোট কাস্ট করা হচ্ছে কি না? এসব ঘটনা প্রমাণ করে, টোটালি ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে জাকসু নির্বাচনে। কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। এটি একটি পরিপূর্ণ কারচুপির নির্বাচন, প্রহসনের নির্বাচন।’তানজিলা হোসাইন আরও বলেন, ‘আমরা দাবি করেছিলাম জামায়াত নেতার ছাপানো ব্যালট বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে। ভিসি ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আমাদের দাবি মানেননি। জামায়াতের সাপ্লাই করা ব্যালটে ফেয়ার ইলেকশন হচ্ছে না। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে, ভোটকেন্দ্রগুলো মনিটর করার জন্য জামায়াত নেতার কোম্পানিকেই সিসিটিভির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে শিবিরকে পুরো ভোটকেন্দ্রগুলো মনিটর করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।’
তানজিলা হোসাইনের অভিযোগ, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জামাত-শিবিরের সঙ্গে এক হয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। এই নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের সত্যিকার রায়ের প্রতিফলন ঘটছে না। এসবের প্রতিবাদে আমরা নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হচ্ছি।’
এ সময় প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী শেখ সাদী হাসানসহ ছাত্রদলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।