কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন, দাবি হত্যার বিচার

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাঁর মায়ের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে ছবি: সত্যের পথে

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ও তাঁর মাকে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অন্য বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আমার বোনের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘আমার বোন মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার বোন কবরে, খুনি কেন বাইরে’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়।

গত সোমবার সকালে নগরের একটি ভবনের ভাড়া বাসা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ও তাঁর মায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ছাত্রী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগে পড়তেন। জোড়া খুনের ঘটনায় ওই দিন বিকেলে নিহত ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

এ ঘটনায় মোবারক হোসেন (২৯) নামের এক কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মোবারক জেলার দেবীদ্বার উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের প্রয়াত আবদুল জলিলের ছেলে।

আজ মানববন্ধনে ওই ছাত্রীর এক সহপাঠী বলেন, হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কী কারণে ওই ছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে—এখনো সেই রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে পারেনি প্রশাসন। তাঁরা জানতে পেরেছেন, মা-মেয়েকে যে কবিরাজ হত্যা করেছেন, তিনি ২০২৩ সালেও একটি ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি ছিলেন। তাহলে তিনি বাইরে থাকেন কীভাবে? পুলিশ তাঁকে আগেই গ্রেপ্তার করলে আজ নির্মমতার সাক্ষী হতে হতো না তাঁদের। তাঁরা হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

মানববন্ধনে লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোসা. শামসুন্নাহার বলেন, ভুক্তভোগী খুবই নম্র, ভদ্র ও মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তাঁর সঙ্গে কারও কোনো দিন কথা–কাটাকাটি ও মনোমালিন্য হয়নি। তাঁর সঙ্গে ঘটা এমন নৃশংস ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে।

শিক্ষার্থীরা কবিরাজ মোবারকের বিরুদ্ধে আগে ধর্ষণচেষ্টার মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার কথা বললেও বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিনুল ইসলাম। তিনি সত্যের পথকে বলেন, বর্তমানে সব আসামির তথ্য অনলাইনে থাকে। শিক্ষার্থীদের দাবির পর তিনি বিষয়টি ভালোভাবে ঘেঁটে দেখেছেন। কিন্তু কবিরাজ মোবারকের নামে আগে কোনো মামলা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার তথ্য পাননি।


Scroll to Top