

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালি ইউনিয়নের দোহাজারী গ্রামের দিনমজুর সবুজ মিয়া (২৮) ও তার স্ত্রী রিতু মনি (২৩) দম্পতির ঘরে একসঙ্গে জন্ম নিয়েছে ৩টি কন্যা সন্তান।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম নেয় এই ৩ নবজাতক। বর্তমানে তাদের বয়স এক মাস।
যে ঘরে একসঙ্গে ৩টি সন্তানের জন্ম আনন্দ বয়ে আনার কথা, সে ঘরেই এখন উদ্বেগ আর অসহায়ত্বের ছায়া। মা রিতু মনির শরীর দুর্বল থাকায় যথেষ্ট বুকের দুধ দিতে পারছেন না। এর ফলে ক্ষুধায় সারাক্ষণ কেঁদে চলেছে নবজাতক ৩টি। বাইরের দুধ কিনে খাওয়ানোর মতো সামর্থ্য নেই অভাবী এই পরিবারটির।
সরেজমিনে ওই বাড়িতে গেলে দেখা যায়, ছোট ঘরের এক কোণে পুরোনো খাটে পাশাপাশি শুয়ে আছে ৩টি নবজাতক। পাশে বসা রোগা ও শীর্ণদেহের মা রিতু মনি তাদের দিকে তাকিয়ে চোখ মুছছেন বারবার।
সবুজ মিয়া বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই। ৩টা মেয়ের কান্না শুনে বুক ফেটে যায়, কিন্তু কিছুই করতে পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘আমার আয়েই চলে পরিবারের ৮ সদস্যের সংসার। এখন ৩টা বাচ্চার দুধ, ওষুধ, পোশাক কোনোটাই ঠিকভাবে জোগাড় করতে পারছি না। কয়েকদিন ধার-দেনা করে দুধ কিনেছি। কিন্তু এখন আর কেউ ধার দিতে চায় না।’
প্রতিবেশী আকমল হোসেন বলেন, ‘৩টা বাচ্চা আল্লাহর দান। কিন্তু তাদের কান্না শুনলে মন কেঁপে ওঠে। আমরা যতটুকু পারছি সাহায্য করছি, কিন্তু আমাদেরও সামর্থ্য সীমিত।’
সবুজ মিয়া সমাজের সহৃদয় মানুষ ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন। সবুজের অনুরোধ আমাদের একটু সাহায্য করুন, যেন এই ৩টি নিষ্পাপ প্রাণ বেঁচে থাকে।