অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের পর নাসুমের শিকার আফগানিস্তান।

নাসুম আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

পাওয়ার প্লে কিংবা মাঝের ওভার, নাসুম আহমেদের হাতে বল দেওয়া মানেই বাংলাদেশের সাফল্য। সেটা রান আটকানোতে হোক বা উইকেট শিকারে। শারজায় সদ্য সমাপ্ত আফগানিস্তান সিরিজে নাসুমের গল্পটা এমনই। সিরিজের ৩ ম্যাচে নামের পাশে ৫ উইকেট থাকলেও তার ইমপ্যাক্ট বা প্রভাব ছিল অনেক। তাইতো সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।

আফগান সিরিজে রান খরচায় ভীষণ কৃপণতা দেখিয়েছেন নাসুম। তিন ম্যাচে মোট ১২ ওভার বল করে মাত্র ৬৭ রান দিয়েছেন তিনি। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ছয়েরও কম—৫.৫৮। যেখানে গড় ১৩.৪০ ও স্ট্রাইকরেট ১৪.৪০।

তবে কোনো সিরিজে নাসুমের দুর্দান্ত বোলিং কিন্তু এই প্রথম নয়। ২০২১ সালে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারানোর পথেও বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন নাসুম। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজসেরা হওয়ার পর মনে করিয়ে দিলেন সেকথাই।

গতকাল রবিবার ম্যাচশেষে নাসুম বলেন, ‘এটাই একমাত্র ঘটনা নয়, যেখানে আমি এভাবে বোলিং করেছি। নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও আমি একইরকম পারফর্ম করেছি, এবং সম্ভবত আরও ভালো করেছি। পিচটি (শারজার) ধীর ছিল, তাই আমি এর সুবিধা নিতে চেয়েছিলাম এবং বোলিংয়ে বৈচিত্র্য ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। এটাই আমার লক্ষ্য ছিল এবং আমি সফল হয়েছি।’

২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে জশ হ্যাজলউডের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী ছিলেন নাসুম। তবে ইকোনমি হিসাব করলে নাসুমই ছিলেন সবার সেরা। ৫ ম্যাচের সেই সিরিজে উইকেট নিয়েছিলেন ৮টি। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৫.১১ হারে।

সমান ম্যাচের নিউজিল্যান্ড সিরিজেও নাসুমের উইকেটসংখ্যা ৮। যদিও এজাজ প্যাটেলের (১০) পর উইকেটশিকারে যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। তবে এবারের ইকোনমি রেট আরও দুর্দান্ত। ওভারপ্রতি মাত্র ৪.৭৮ হারে রান দিয়েছেন তিনি।

টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৪৪ ম্যাচ খেলে ৪৬ উইকেট নিয়েছেন নাসুম। যেখানে ওভারপ্রতি রান খরচ করেছেন ৭.০১ হারে।

Leave a Reply

Scroll to Top