

নারী নির্যাতন মামলায় মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ।মঙ্গলবার (২০ মে) ডিএমপির মিডিয়া আ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ব্যক্তিগত নানা আচরণের কারণে বিভিন্ন সময়ে আলোচিত হন। একাধিক বিয়ে করেও আলোচনায় এসেছিলেন এই গায়ক। কিন্তু কোনো সংসারই স্থায়ী হয়নি। ২০১৯ সালে সালসাবিল মাহমুদকে বিয়ে করে আলোচনার সৃষ্টি করেন নোবেল। কিন্তু মাদক ত্যাগ না করায় সে সংসার টেকেনি। এরপর ২০২৩ সালের শেষে ফের নোবেলের বিয়ের খবর সামনে আসে।
অন্যদিকে, দুই বছর আগেও নোবেলকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেবার প্রতারণার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। একটা অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছিলেন নোবেল। কিন্তু পরে আর তিনি সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। এ ঘটনায় ২০২৩ সালে নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দুইটায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নোবেলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাওসি মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল পেয়ে ডেমরার সারুলিয়ার আমতলায় নোবেলের বাসা থেকে এক নারীকে উদ্ধার করা হয়। পরে ওই নারী রাতেই থানায় মামলা করেন। এরপর রাত দুইটায় অভিযান চালিয়ে স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা থেকে নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জি বাংলার গানের শো সা রে গা মা পা’য় অংশ নিয়ে সবার নজরে আসেন নোবেল। তার গান দর্শকের মনে স্থান করে নেয়। পরে তার বেশ কিছু গান জনপ্রিয়তা পায়। তবে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই তাকে ঘিরে আলচনা-সমালোচনা ছিল। একটা সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে শো করতে গেলেও সেখানেও তাকে নিয়ে সমালচনা হয়। ২০২৩ সালে কুড়িগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন তিনি। কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নোবেলের আচরণে বিরক্ত হয়ে দর্শকরা জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারেন শিল্পীর দিকে। সেই ঘটনাটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।