[caption id="attachment_8471" align="aligncenter" width="600"]
জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতপাত বিলোপ জোটের আত্মপ্রকাশ। ছবি: সত্যের পথে[/caption]
দলিত ও হরিজন সম্প্রদায়ের ১৯টি সামাজিক সংগঠন নিয়ে ‘জাতপাত বিলোপ জোট’-এর আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এই জোট আত্মপ্রকাশ করে।
জোটভুক্ত উল্লেখযোগ্য সংগঠনগুলো হলো– বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ, পথিক ফাউন্ডেশন, মাইনরিটি রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ, উদ্দীপ্ত মহিলা উন্নয়ন সংস্থা, ছাত্র ঐক্য পরিষদ, হরিজন অধিকার আদায় সংগঠন, জাগরণী সভা বাংলাদেশ, বীরেন্দ্র সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, তেলেগু কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, হরিজন সমাজ সংস্কার আন্দোলন, বাংলাদেশ হরিজন জেলা সমাজকল্যাণ সংগঠন, জেলা সমাজ যুব সংঘ, হরিজন সেবক সমিতি ও সারদা স্মৃতি সংসদ।
মাইনরিটি রাইটস ফোরামের নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উৎপল বিশ্বাস জোটের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দিয়ে জোট গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে শোষণ-বঞ্চনা, অবহেলার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠছে নমঃশূদ্র, দলিত, হরিজন, চা শ্রমিক ও আদিবাসী অংশের মানুষ। রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক নিপীড়নের কারণে দেশে প্রায় দেড় কোটি অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে শত শত বছর ধরে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। বর্ণবৈষম্য বিলোপ না করে বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়।
সংবাদ সম্মেলনে জোটের পক্ষ থেকে ১৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে– বৈষম্য বিলোপ কমিশনসহ বৈষম্য বিলোপ আইন পাস করা; আদিবাসী, দলিত, হরিজন ও চা শ্রমিকদের ভূমির অধিকার নিশ্চিত করা; পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও চা শ্রমিকসহ দৈনিক ভিত্তিতে নিযুক্ত শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি কমপক্ষে ৮০০ টাকা করা; অনগ্রসর জনগোষ্ঠীগুলোর তালিকা সংবিধানের তপশিলে যুক্ত করা; অনগ্রসর জনগোষ্ঠীগুলোর সকল ছাত্রছাত্রীকে বৃত্তির আওতায় এনে প্রতিবছর কমপক্ষে ২০ কোটি টাকা বৃত্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা; অনগ্রসর জনগোষ্ঠীগুলোর ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় ৬ শতাংশ এবং সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ৬ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা অন্যতম।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পথিক বাদল, শ্রীকৃষ্ণ পাল, প্রদীপ হেলা, সীমা দত্ত, জয়ন্তী রানী মণ্ডল, অ্যাডভোকেট গৌরাঙ্গ বসু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা দিদারুল আলম ভুইয়া প্রমুখ।