স্বামীর রাগে গলা কেটে হত্যা, স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ককে কেন্দ্র করে।


নড়াইল সদরের ইজিবাইকচালক আকবর ফকির হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। ঋণ দেওয়ার সূত্র ধরে বাবু সর্দার নামের এক ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোয় খুনের শিকার হন আকবর। সোমবার সন্ধ্যায় নড়াইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম।

গত সোমবার বাবু সর্দার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ১৫ বছর আগে সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের শড়াতলা গ্রামের বাবু সর্দার (৫৯) একই গ্রামের আকবার ফকিরের (৫৯) কাছ থেকে কিছু টাকা ঋণ নেয়। দরিদ্র বাবু সর্দার আর ঋণ শোধ করতে পারেনি। ঋণ দেওয়ার সুবাদে আকবর বাবুর স্ত্রীর সঙ্গে সখ্য এবং এক পর্যায়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্প্রতি বাবুর মেয়ে ও পূত্রবধূর দিকেও কুদৃষ্টি দেয় আকবর। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে আকবরকে হত্যার পরিকল্পনা করে বাবু। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার আকবারকে পার্শ্ববর্তী গ্রামের একটি বাঁশবাগানে ফোনে ডেকে নেয় সে। পরে কোমল পানীয়ের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে খেতে দেয়। আকবর এটি পান করার কিছুক্ষণ পরই অচেতন হয়ে গেলে তাঁর হাত-পা বেঁধে জবাইয়ের পর ঘটনাস্থলসংলগ্ন ডোবায় ফেলে দেয়।
গত শুক্রবার সদর উপজেলার বুড়িখালী গ্রামের একটি ডোবা থেকে আকবরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার আকবরের বড় ছেলে জিনার ফকির সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রোববার রাতে লোহাগড়া থেকে বাবু সর্দারকে গ্রেপ্তার করে।

Leave a Reply

Scroll to Top