[caption id="attachment_4299" align="alignnone" width="861"] ঘুমানোর আগে বই পড়লে মানসিক চাপ কমেমডেল : মৌসুমী মৌ, সাজ: অরা বিউটি লাউঞ্জ। ছবি: কবির হোসেন[/caption]
ইচ্ছাশক্তিকে একধরনের পেশি হিসেবে ধরুন। এই পেশি রাতভর মুঠোফোনে স্ক্রল, রাত জেগে খাওয়া বা টিভি দেখার মতো অদরকারি কাজগুলোর সঙ্গে লড়াই করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যায়। কিন্তু সন্ধ্যার রুটিন ঠিকঠাক মানা মানেই আপনার ইচ্ছাটাকে অটো পাইলটে বসিয়ে দেওয়া। মস্তিষ্ক তখন সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে। ভোরেও উঠতে পারবেন অনায়াসে।
স্মার্টফোন ও অন্যান্য ডিভাইসের নীল আলো বাধা দেয় মেলাটোনিন উৎপাদনে। মেলাটোনিন ভালো ঘুমের জন্য অত্যাবশ্যক। তাই শোবার অন্তত দেড় ঘণ্টা আগে সব ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস থেকে দূরত্ব তৈরি করুন।
আগামী দিনে যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবেন, সেসব লিখে নিন। শুধু তিনটি। ৫০টি কাজের তালিকা শুধু চাপ বাড়াবে। ছোট, নির্দিষ্ট এবং সুসংগঠিত পরিকল্পনা মানসিক শান্তি দেয়। শোবার এক ঘণ্টা আগেই কাজটি সম্পন্ন করুন।
এমন কিছু করুন, যা আপনাকে স্রেফ নির্মল আনন্দ দেবে। এসবের পেছনে থাকবে না কোনো বৈষয়িক লাভ–ক্ষতির হিসাব। যেমন গল্পের বই পড়ুন, স্ট্রেচ করুন বা শুধু দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকুন। এসব কাজ মস্তিষ্ককে শান্ত করে এবং বিশ্রামের জন্য প্রস্তুত করে। শোবার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে থেকে এসবের চর্চা করুন।
জাপানিরা দিনের শেষে গরম পানিতে গোসল করেন। সম্ভব হলে মিশিয়ে দেন বাথ সল্ট বা প্রাকৃতিক খনিজ উপকরণ। প্রাকৃতিক খনিজ ম্যাগনেশিয়াম ক্লোরাইড সরবরাহ করে, যা পেশি শিথিল করতে সহায়তা করে।
আপনার সন্ধ্যার রুটিন হতে পারে সাধারণ। এটা অনুসরণ করলে সামাজিক মাধ্যমে লাখ লাখ লাইক হয়তো পাবেন না। কিন্তু বাস্তবে এটি আপনার সকালকে অনেকটাই গুছিয়ে দেবে। শান্তভাবে দিন শুরু করতে পারবেন, যেটা অনেক কাজেই এনে দেবে সফলতা।