[caption id="attachment_6988" align="aligncenter" width="600"]
ছবি: সংগৃহীত [/caption]
শরীয়তপুরের সখিপুরে জমির বিরোধ ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে হত্যা করা হয় শিশু তায়েবাকে। তার আপন চাচির পরিকল্পনায় মাত্র ৬ বছরের শিশুকে গলাটিপে হত্যা করা হয় বলে জানা যায়।
গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সখিপুর থানার ছৈয়ালকান্দি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে খেলার জন্য বের হয়ে নিখোঁজ হয় শিশু তায়েবা। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও না পাওয়ায় তার বাবা টিটু সরদার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে প্রতিবেশী মেছুউদ্দিন মোল্লার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে পুলিশ তায়েবার মরদেহ উদ্ধার করে।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পরবর্তীতে ২৮ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে নিহতের বাবা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে তায়েবার চাচি আয়েশা খাতুন (৪৭), নাছিমা বেগম (৩৫) ও আসিফ বেপারীকে (২০) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় নাছিমা বেগম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আয়েশা ও আসিফকে রিমান্ডে নেওয়া হয় এবং তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শাহনাজ বেগমকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’
এসপি আরও বলেন, ‘৪ আসামি মিলে শিশুটিকে হাত-পা চেপে ধরে গলাটিপে হত্যা করে। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন শিশু তায়েবার আপন চাচি আয়েশা খাতুন। পরে হত্যার পর নিহত শিশুর কানের দুল ১৮ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়, যা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত তায়েবার বাবা টিটু সরদারের সঙ্গে তার ভাই শাহান শাহ সরদারের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।’
এদিন প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শেখ শরীফ-উজ-জামান, গোসাইরহাট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর হোসেন।