[caption id="attachment_7757" align="aligncenter" width="600"]
লালমনিরহাটে তিস্তা বন্যায় তলিয়ে যাওয়া ধান ক্ষেত। ছবি: সংগৃহীত [/caption]
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে বন্যার কবলে পড়ে তিস্তাপাড়ের জেলা লালমনিরহাট। মাত্র ২৪ ঘণ্টা পরে পানি কমে গেলে ভেসে উঠে বন্যার ক্ষত। বন্যার উন্নতি হলেও কমেনি দুর্ভোগ।
জানা গেছে, কয়েক দিনের বর্ষন আর উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়। গত রোববার রাতে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে তিস্তাপাড়ের জেলা লালমনিরহাট। সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ রক্ষার্থে রোববার রাতেই ফ্লাড বাইপাস কেটে দেয় ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ। এলাকায় জারি করা হয় রেড এলার্ট। নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয় ফ্লাড বাইপাসের ভাটিতে থাকা বাসিন্দাদের। পানিবন্দী হয়ে পড়েন জেলায় লাখো মানুষ।
গতকাল সোমবার পানি কমে গেলে বন্যার উন্নতি ঘটতে থাকে। এরপর ভেসে উঠে বন্যার ভয়াল থাবার ক্ষত। জেলার বেশ কিছু পাকা কাচা সড়ক ভেঙ্গে গেছে। ধ্বসে গেছে ব্রীজ কালভার্ট। পানিবন্দী মানুষ মুক্তি পেলেও পানিতে তলিয়ে আছে মধ্যবয়সী আমন ধানের ক্ষেত। বালুর আস্তরণ পড়ে কিছু আমন ক্ষেত ঢেকে গেছে। এতে করে এসব ফসল নষ্ট হয়ে যায়। আর যেসব আমন ক্ষেত পানি থেকে মুক্তি পেয়েছে, সেগুলোর তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে চরাঞ্চলের অধিকাংশ আমন ক্ষেত বালুর আস্তরনে ঢেকে গেছে। ফলে দুঃচিন্তার ভাজ পড়েছে তিস্তাপাড়ের চাষিদের কপালে।
সড়কের ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহের ফলে জেলার ৫টি সড়কের ৫/৬ শত মিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে কয়েকটি সড়কে। তবে বিচ্ছিন্ন সড়কে যোগাযোগ সচল করতে বালুর বস্তা ফেলে মেরামত করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর (এলজিইডি) লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার আহমেদ।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ‘কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। ইতোমধ্যে পানি নেমে গেছে। আগামী ২/৩ দিনে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। কোথাও ভাঙ্গণ দেখা দিলে আমরা তা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি।’