যাঁরা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন বা সহায়তা করেছেন, তাঁদের উদ্দেশে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বড় হন। যদি আপনারা আপনাদের উদ্দেশ্যে বিশ্বাস করেন, তবে তা শান্তিপূর্ণভাবে, আইনের মাধ্যমে ও মর্যাদার সঙ্গে উপস্থাপন করেন। ডিম, ঘুষি আর জনতার ভণ্ডামির মাধ্যমে কাউকে বোঝাতে পারবেন না; বরং বিশ্বকে প্রমাণ করে আপনাদের কাছে আর কোনো যুক্তি অবশিষ্ট নেই।’
প্রবাসী সমাজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও আয়োজক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সভ্য আলোচনার পক্ষে দৃঢ় থাকুন। কঠিন আলোচনা হোক, তবে বক্তা, শ্রোতা ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।’
সরকার আরও বলেছে, ‘আওয়াজে কত জোর বা কতটা সহিংস, তা দিয়ে আন্দোলনের প্রকৃত মূল্যায়ন হয় না। বরং মূল্যায়ন হয় শৃঙ্খলা, মর্যাদা ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে।’
এ ঘটনায় সরকার তিন দফা পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে:
১. মেট্রোপলিটন পুলিশকে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত সম্পন্ন করতে, ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে এবং ভাঙচুর, হামলা ও প্রতিবন্ধকতার অভিযোগে তাঁদের বিচারের আওতায় আনতে আহ্বান জানানো।
২. প্রবাসী রাজনীতিবিদ ও সংগঠকদের প্রতি আহ্বান জানানো, তাঁরা যেন তাঁদের দলীয় আনুগত্য যা–ই হোক না কেন, সহিংসতা ও ভয় দেখানো স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করুন।
৩. শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার এবং একই সঙ্গে কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের ভয়হীনভাবে বক্তব্য দেওয়া ও সমবেত হওয়ার সমান অধিকারের নিশ্চয়তা পুনর্ব্যক্ত করা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণতন্ত্র আবেগ দাবি করে, তবে আত্মসংযমও দাবি করে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রে সকল নাগরিকের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য উভয়েরই প্রয়োজন।’