লক্ষ্য ১৫৭, সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ ও সিরিজ জিতালেন মার্শ।

ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়ছেন মিচেল মার্শ। ছবি: সংগৃহীত

অধিনায়কোচিত ইনিংস হয়তো একেই বলে! নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্যে অন্য প্রান্তের ব্যাটাররা যেখানে আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন, তখন এক প্রান্তে মিচেল মার্শ শুধু উইকেটই ধরে রাখেননি, রানও তুলেছেন দ্বিগুণ হারে। ওপেনিংয়ে নামা অধিনায়ক মার্শের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতেই শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ১৫৬ রান করে ৯ উইকেট হারিয়ে। জবাব দিতে নেমে অজিরা ৩ উইকেটের জয় পায় ১২ বল হাতে রেখেই। সিরিজের প্রথম ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে। তৃতীয় ম্যাচ জিতে তাই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ ঘরে তুলল সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।

আজকের সেঞ্চুরি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিন সংস্করণেই শতরান হাঁকানোর কৃতিত্ব অর্জন করলেন মার্শ। ২০ ওভারের ক্রিকেটে ১১টি হাফ সেঞ্চুরি থাকলেও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার এই প্রথম স্পর্শ করলেন শন মার্শের ভাই। টেস্টে ৩টি ও ওয়ানডেতে ৪টি সেঞ্চুরি আছে মিচেল মার্শের। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিন সংস্করণেই সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন শেন ওয়াটসন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ডেভিড ওয়ার্নার ও জশ ইংলিশ।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে এদিন টিম সেইফার্টের পঞ্চাশ ছোঁয়া (৩৫ বলে ৪৮) ইনিংসেই ১৫৬ রান করে নিউজিল্যান্ড। এর বাইরে বলার মতো রান করেছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল (২২ বলে ২৬) ও জেমস নিশাম (১৮ বলে ২৫)।

জবাব দিতে নেমে ২৮ রানে প্রথম ট্রাভিস হেডের উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর ধারাবাহিকভাবেই হারাতে থাকে উইকেট। তবে অধিনায়ক মার্শ ছিলেন অবিচল। ২১ বলে এদিন হাঁকিয়েছেন ফিফটি। পরে সেঞ্চুরি হাঁকান ৫০ বলে। অজিদের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ বলে ১৪ রান করেন মিচেল ওয়েন। ৭ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন শন অ্যাবট। শেষ পর্যন্ত ৫২ বলে ৮টি চার ও ৭টি ছক্কায় ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন মার্শ।

Leave a Reply

Scroll to Top