[caption id="attachment_5120" align="aligncenter" width="600"]
ছবি: সত্যের পথে[/caption]
যথাসময়ে স্থানীয় সড়কগুলো সংস্কার করা হয় যেন প্রকৌশলীরা কাজের সময় উপস্থিত থাকতে পারেন ও বিশ্রাম নিতে পারেন। জেলা অফিসে সবসময় যেন যাতায়াত না করতে হয় এজন্যেই বাসভবনসহ কার্যালয় করে দেয়া হয়। এটি রায়পুর-লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে রায়পুর বাস টার্মিনাল ও থানার মাঝখানে অবস্থিত। কিন্তু এটি এখন ‘মাদকসেবীদের আড্ডাখানায়’ পরিণত হয়েছে।
শুধু তাই নয়, অভিযোগ রয়েছে কার্যালয়ের সামনে একটি চা দোকান ও আল-আকসা বাস কাউন্টারের জন্য ভাড়াও নেওয়া হয় এটি। এই কার্যালয়ের সামনে সিএনজি স্টেশান হওয়ায় মাদকসেবী-বখাটেদের দ্বারা ইভটিজিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে পথচারী নারী ও স্কুল শিক্ষার্থীদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জানান, সড়কের পাশে প্রকৌশলীর জন্য কার্যালয়টি নির্মিত হলেও তা বহিরাগতদের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া সন্ধ্যার পর থেকেই ভেতরে মাদকসেবীদের আড্ডা দিতে দেখা যায়। মাদকের কেনাবেচা এবং হাতবদলের নিরাপদ স্থান হিসবেও ব্যবহৃত হচ্ছে অন্ধকার নিরিবিলির এই স্থান।
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, রাতে মাদকসেবীরা মাঠে বসে আড্ডা দেন। মাঝে মধ্যে আবার লেজার লাইট মেরে অশ্লীল শব্দ করে শিষ দেয়। আর দিনে সিএনজি চালক ও বখাটেদের উপস্থিতি থাকে কার্যালয়ের সামনের জায়গায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের সহকারি ও উপসহকারি প্রকৌশলীর জন্য বাসভবনসহ কার্যালয় ও দুইজন কর্মচারি থাকার কথা। একটি পুকুরসহ ১০০টির মত ফলজ গাছ রয়েছে। গত ২০ বছর ধরে কোন কর্মকর্তা বসবাস করেনা। একজন কর্মচারি থাকলেও সে প্রায়সময় বাহিরে থাকে।
কার্যালয়ের সামনে জায়গা দখলকারি চা দোকানি ইউসুফ বলেন, আমি গরিব মানুষ। এক নেতা ও এই অফিসের একজনের সহযোগিতায় ১৫ বছর দোকান দিয়ে চলছি। বাস কাউন্টার ছিলো ও এক বছর আগে চলে গেছে। এখন সিএনজি কাউন্টার করা হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের লক্ষ্মীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমি কয়েকমাস আগে যোগদান করি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদকের আসরের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো বলে জানান। চা দোকানিকে ও বাস কাউন্টারও সরানো হবে।