মৌসুমি বায়ুর প্রভাব শেষের পথে, স্বস্তি মিলবে বৃষ্টির বিরতিতে


দেশজুড়ে বর্ষার ইতি টানতে শুরু করেছে মৌসুমি বায়ু। আগামী রোববার থেকে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে মৌসুমি বায়ুর বিদায় প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)। এরপর পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও বর্ষা বিদায় নেবে। এর ফলে দেশের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টিপাত প্রায় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।

বিডব্লিউওটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১২ থেকে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে মৌসুমি বায়ুর বিদায় শুরু হতে পারে। খুলনা, ঢাকা, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ থেকে ১৩ থেকে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে বর্ষা বিদায় নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল অর্থাৎ চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে সর্বশেষ ১৫ থেকে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে মৌসুমি বায়ু সম্পূর্ণরূপে বিদায় নেবে।

সংস্থাটি জানায়, এই সময়ের পর উল্লেখিত এলাকাগুলোতে বৃষ্টির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। তবে, কোনো নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড় বা বিশেষ আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতি তৈরি হলে সাময়িকভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থেকে যাবে। যদিও অক্টোবর মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে কোনো লঘুচাপ, নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে।

মৌসুমি বায়ু ও বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ার পর আবহাওয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে জানিয়েছে বিডব্লিউওটি। দিন এবং রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান বাড়বে। দিনভর রোদে গরম অনুভূত হলেও রাতের বেলা আবহাওয়া ঠান্ডা ও আরামদায়ক হয়ে উঠবে।

দিনের গরম ও রাতের ঠাণ্ডার এই তারতম্যের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা সংস্থাটির। তারা বলছেম, এই কারণে দেশজুড়ে সাময়িকভাবে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো অসুস্থতা অনেক বেড়ে যেতে পারে। যদিও সব বয়সের মানুষই এতে আক্রান্ত হতে পারে, তবে শিশু এবং বয়স্করা সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে থাকেন। তাই এই সময়ে নিজের এবং পরিবারের সকল সদস্যের দিকে বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে এবং শিশুদের আলাদা যত্ন নিতে হবে।

Leave a Reply

Scroll to Top