[caption id="attachment_2974" align="alignnone" width="600"]
প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মেঘমল্লার বসু সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের ইনডোর গেমস রুমের বাইরে — ছবি: মারজানা আক্তার সুমি[/caption]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ব্যালটে প্রগতিপক্ষের যে শক্তিগুলো আছে, সেই শক্তিগুলোর জয় হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মেঘমল্লার বসু।
আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের ইনডোর গেমস রুমের বাইরে মেঘমল্লার বসু সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন। এর আগে তিনি ভোট দিতে বেলা ১১টার দিকে এই ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন।
মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘আমরা আসলে রেজাল্টের ব্যাপারে ইতিবাচক। আমরা মনে করি, ব্যালটে প্রগতিপক্ষের যে শক্তিগুলো, সেই শক্তিগুলোর জয় হবে।’
ডাকসু নির্বাচনে প্রথম ভোটের অনুভূতি অসাধারণ বলে উল্লেখ করেন মেঘমল্লার বসু। তিনি বলেন, সবশেষ ডাকসু নির্বাচন যখন হয়েছে, তখন তিনি ছয় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে লাইন জ্যামিংয়ের কারণে ভোট দিতে পারেননি। এবার তিনি প্রার্থী হওয়ার কারণে বা শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে একবারে ভোট দিতে পারেছেন।
মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘গেলাম, ভোট দিলাম। নিজের ইচ্ছামতো প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বাছলাম। এই যে পাওয়াটা, এটাই জুলাই অভ্যুত্থানের পাওয়া। এই যে আমরা ভোট দিতে পারতেছি, একটা ভোটের বাংলাদেশ শুরু হলো। সেই সূচনা যে ঘটল, রেজাল্ট যা-ই হোক, সেটা একটা অসম্ভব ইতিবাচক বিষয়।’
নিজের জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে মেঘমল্লার বসু বলেন, বিষয়টি ভোটারদের হাতে। তিনি তাঁর কাজ সর্বোচ্চ করছেন। সবকিছু মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা দেখতে হবে। তবে মানুষের কাছ থেকে যে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে, তাতে তিনি আবেগাপ্লুত।
ভোটারদের ভোট দিতে কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান মেঘমল্লার বসু। তিনি বলেন, ‘যাঁকে খুশি তাঁকে ভোট দিন। কিন্তু প্লিজ ভোট দিতে আসেন। অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা, প্লিজ প্লিজ যাঁরা বাইরে বসে আছেন, আজকের দিনটা যদি এ রকম বসে থাকেন, তাহলে পরে রেজাল্ট নিয়ে রিগ্রেট করবেন আগামী দেড় বছর।’