প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ৭, ২০২৫, ১০:৫৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫, ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ
মির্জাপুরে গ্যাস লাইন ফেটে সরবরাহ বন্ধ, ৩৯ ঘণ্টা পেরোলেও মেরামত হয়নি
[caption id="attachment_4684" align="aligncenter" width="600"]
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি এর প্রধান সঞ্চালন লাইনের পাইপ ফেটে যাওয়ার পর মেরামতের চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আজ রোববার সকালে ছবি: সত্যের পথে [/caption]
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসির প্রধান সঞ্চালন লাইনের পাইপ ফেটে যাওয়ার ৩৯ ঘণ্টা পার হলেও মেরামত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এ কারণে প্রায় দুই হাজার আবাসিক গ্রাহক ও অন্তত ১০টি কারখানার গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রান্না ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকেরা। ব্যাহত হচ্ছে শিল্পকারখানার উৎপাদন। কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, নার্সিং স্কুল, ভারতেশ্বরী হোমসসহ কুমুদিনী কমপ্লেক্সের অন্তত পাঁচ হাজার মানুষও ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গণপূর্ত অধিদপ্তরের উদ্যোগে মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাইমহাটী এলাকায় মডেল মসজিদ নির্মাণের কাজ চলছে। গত শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে পাইলিং করার সময় খননযন্ত্র সঞ্চালন লাইনে আঘাত করলে পাইপ ফেটে যায়। এ সময় বিকট শব্দে গ্যাস বেরোতে থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। খবর পেয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষ দ্রুত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। তবে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত লাইন মেরামত সম্ভব হয়নি।
এ কারণে মির্জাপুর উপজেলার সোহাগপুর থেকে দেলদুয়ারের নাটিয়াপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকায় গ্যাস-সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আবাসিক গ্রাহকেরা গত শুক্রবার রাত থেকে রান্না করতে পারছেন না। কেউ প্রতিবেশীর চুলা ব্যবহার করছেন, কেউবা হোটেল থেকে কিনে খাচ্ছেন। গোড়াই শিল্পাঞ্চলের অন্তত ১০টি কারখানার উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে।
কুমুদিনী হাসপাতালের উপপরিচালক অনিমেষ ভৌমিক সত্যের পথকে বলেন, ‘কুমুদিনী কমপ্লেক্সে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ বসবাস করেন। গ্যাসচালিত জেনারেটরের মাধ্যমে হাসপাতালে রোগীদের অস্ত্রোপচারসহ বিভিন্ন সেবা দেওয়া হয়। গ্যাস সংযোগ না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
তিতাসের টাঙ্গাইল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী রমজান আলী বলেন, পাইপটি আগে ১০ থেকে ১২ ফুট নিচে ছিল। মসজিদ নির্মাণের সময় নতুন মাটি ফেলে তা প্রায় ৩০ ফুট নিচে চলে গেছে। পানিভেজা নরম মাটিতে পাইপ মেরামতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগ বা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাউকেই বিষয়টি জানায়নি।
তিতাসের গাজীপুর চন্দ্রা এলাকার ব্যবস্থাপক (সিস্টেম অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) কাউছারুল ইসলাম বলেন, ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। তবে দ্রুত মেরামতের চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে টাঙ্গাইল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সম্ভু রাম পাল সত্যের পথকে বলেন, ‘ওই স্থানে গ্যাসলাইন আছে আমরা জানতাম না। স্থানীয় লোকজনও জানায়নি। একটা ভুল হয়েছে, তবে এতে ঠিকাদারের কোনো গাফিলতি নেই। লাইন মেরামতে তিতাসের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।

Sotterpothe