

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ও পুরোনো সীমানা বহালের দাবিতে স্থানীয় লোকজন গত রোববার থেকে তিন দিন মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
ওই কর্মসূচি গতকাল সোমবার দুপুরে সহিংস রূপ নেয়। বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙ্গা থানা ও উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন। উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগও করা হয়। এ সময় সাংবাদিকদের ওপরও চড়াও হন বিক্ষোভকারীরা।
তবে আজ সকাল থেকে ওই দুই মহাসড়কে যানবাহন চলছে; কিন্তু স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যানবাহন কম। বাজারেও দোকানপাট পুরোপুরি খোলেনি। মনসুরাবাদ এলাকাল কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কায় অনেকে রাতে নিজ বাড়িতে থাকছেন না। তাঁরা নিরাপত্তার জন্য আশপাশের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন বলেন, সকাল আটটা পর্যন্ত মহাসড়কে কোনো অবরোধকারীকে দেখা যায়নি। সকাল থেকেই যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবরোধকারীরা আবার রাস্তায় নামতে পারেন—সেই শঙ্কা আছে।
৪ সেপ্টেম্বর গেজেটের মাধ্যমে ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে। এর পর থেকে ভাঙ্গায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত রোববার থেকে তিন দিনের সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন স্থানীয় জনতা।