
রিফর্ম ইউকে নেতা নাইজেল ফারেজের সাম্প্রতিক করা এক মন্তব্য যুক্তরাজ্যে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, অভিবাসীরা রাজধানীর রয়্যাল পার্কস-এ সোয়ান বা রাজহাঁস ও মাছ ধরে খাচ্ছে। উন্মুক্ত জলাশয়ে ভেসে বেড়ানো হাসঁগুলি রাজার সম্পদ।
তবে রয়্যাল পার্কস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লন্ডনের আটটি রয়্যাল পার্কের কোনো একটিতেও এ ধরনের ঘটনার প্রমাণ নেই। একই কথা জানিয়েছে প্রাণী সুরক্ষা সংস্থা আরএসপিসিএ।
তারা বলেছে, সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো ভিডিওটি আসলে ২০১০ সালের একটি টিভি শো থেকে নেওয়া—এটি বর্তমান সময়ের ঘটনা নয়।
ব্রিটেনে সোয়ান এবং বেশিরভাগ বন্য হাঁস ও পাখি “ওয়াইল্ড লাইফ ও কান্ট্রিসাইড আইনের অধীনে সুরক্ষিত। আইন অনুযায়ী, এসব প্রাণী হত্যা বা খাওয়া দন্ডনীয় অপরাধ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অভিবাসন ইস্যুতে জনমতকে উত্তেজিত করার কৌশল হিসেবেই ফারেজ এই মন্তব্য করেছেন।
তবে যাচাই-বাছাই ছাড়া এই ধরনের অভিযোগ অভিবাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব ছড়িয়ে দিতে পারে।
ফারেজের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে লেবার পার্টির একাধিক এমপি বলেছেন, এটি শুধু বিভ্রান্তি ও ঘৃণা ছড়ানোর প্রচেষ্টা।
রয়্যাল পার্কসে রাজহাঁস খাওয়ার অভিযোগ এখন পর্যন্ত গুজব ছাড়া আর কিছু নয়। সরকারি ও স্বাধীন সংস্থা উভয়েই বলছে যে এ বিষয়ে কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। ফলে বিষয়টি রাজনৈতিক বিতর্ক হিসেবেই রয়ে গেছে।