বৃদ্ধের চুল কাটার অভিযোগে গ্রেপ্তার একজন।

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় জোর করে বৃদ্ধ হালিম উদ্দিন আকন্দের চুল ও দাড়ি কাটার ঘটনায় মজনু মিয়া (৪৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত মজনু মিয়া উপজেলার কাশিগঞ্জ এলাকার মৃত রজব তালুকদারের ছেলে।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ টিপু সুলতান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত মজনু মিয়া ওই মামলার এজাহার নামীয় আসামি।’

এর আগে গত শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর জেলার তারাকান্দা থানায় ভুক্তভোগীর ছেলে মো. শহীদ আকন্দ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হালিম উদ্দিন আকন্দ তার অভিযোগে বলেন, ‘ওইদিন (ঘটনার দিন) আমি বাজারে গেলে তারা আমাকে জোর করে ধরে আমার চুল ও দাড়ি কেটে দিয়েছে। বাজারে তখন লোক কম ছিল। আমি চেষ্টা করেও তাদের হাত থেকে রেহাই পাইনি। তখন আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি। এখনও আল্লাহার কাছে বিচার চাই। তবে পরিবারের কথায় এখন আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি, দেখি তারা কী বিচার করে।’

তিনি বলেন, ‘আমার চুল দাড়ি কাটার সময় বাইরের ২ জন লোকসহ প্রায় ৮ থেকে ৯ জন লোক ছিল। তাদের মধ্যে এলাকার নয়ন এবং মজনুও ছিল। তারা এখনো এলাকায় আছে। তারা আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। তারা আমার মান ইজ্জত মারছে, আমি বিচার চাই।’

এদিকে এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হালিম উদ্দিন তারাকান্দা উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। গ্রামটি ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কের পাশে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে হালিম ফকির হিসেবেই চেনেন। একেবারেই গরীব একজন মানুষ তিনি। হালিম উদ্দিন কোনো অপ্রকৃতিস্থ বা পাগল ব্যক্তি না। তিনি মূলত হজরত শাহজালাল (র.) ও শাহ্ পরান (র.)-এর ভক্ত। প্রায় ৩৪ বছর আগে উনাদের মাজারে যাওয়ার পর থেকেই তিনি নিজের বেশভূষা বদলে ফেলেন। সেই থেকে তিনি চুল দাড়ি কাটা বন্ধ করে দেন। এরপর থেকে তিনি এলাকায় টুকটাক কবিরাজিও করতেন। তাকে নিয়ে পরিবার বা এলাকাবাসীরও কোনো অভিযোগ ছিল না বলেও জানা যায়।

Leave a Reply

Scroll to Top