বিষ্ণুর মা–বাবার স্বপ্ন অপূর্ণই রয়ে গেল।

ধুরু বিষ্ণু ও থালাপতি বিজয়

তামিলনাড়ুর করুর জেলায় অভিনেতা-রাজনীতিক থালাপতি বিজয়ের নির্বাচনী সমাবেশে পদদলনের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছে মাত্র দুই বছরের এক শিশু। ধুরু বিষ্ণু নামের এই শিশু বাবা-মায়ের সঙ্গে সমাবেশে গিয়েছিল।  এই মৃত্যুই পদদলন-দুর্যোগে সর্বকনিষ্ঠ প্রাণহানি।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, মোট ৩৯ জন নিহতের মধ্যে ১০ জনই অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাদের বেশিরভাগই নারী ও তরুণ-তরুণী। নিহতদের তালিকায় রয়েছে- হেমালতা (৮), সাইলেটসানা (৮), সাই জীব (৪), ধুরু বিষ্ণু (২), সানুজ (১৩), ধরানিকা (১৪), পঝানিয়াম্মাল (১১), কোকিলা (১৪), কৃতিক (৭), কিশোর (১৭) সহ আরও অনেকে।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ১০ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন স্থানে অন্তত ২৭ হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছিল। দুপুর থেকেই মানুষ ভিড় জমালেও বিজয় প্রায় সাত ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছান, তখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অভিযোগ উঠেছে, খাদ্য ও পানীয়ের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না।

পদদলনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই টিভিকে’র দুই শীর্ষ নেতা-সাধারণ সম্পাদক এন আনন্দসহ বিজয়ের ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত হত্যার মামলা দায়ের হয়েছে।

নিহতদের পরিবারপ্রতি ২০ লাখ টাকা এবং আহতদের জন্য ২ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছেন বিজয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘আমার হৃদয়ের যন্ত্রণাকে ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। এই ক্ষতি অপূরণীয়। তবে পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমি আপনাদের পাশে আছি।’

অন্যদিকে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। ইতোমধ্যেই পুরো ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, মানুষের ক্ষোভ বিজয়ের দিকে ঘুরে যেতে পারে বলে তাঁর বাসভবনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। টিভিকে দলের সব জেলা সম্পাদকদের জন্যও পুলিশি নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শাসক দল ডিএমকে অভিযোগ করেছে, বিজয়ের সমাবেশে খাবার ও পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে অনেকে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সূত্র: এনডিটিভি।

Leave a Reply

Scroll to Top