[caption id="attachment_2990" align="aligncenter" width="1088"]
দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্যাম্প ন্যু-তে খেলতে পারছে না বার্সেলোনা । বার্সেলোনা ওয়েবসাইট[/caption]
চলতি মৌসুমের শুরুতেই ক্যাম্প ন্যুতে ফিরতে চেয়েছিল বার্সা। কিন্তু আগস্টের হোয়ান গাম্পার ট্রফির সময় দেখা গেল, চেনা মাঠে ফেরা তো দূরের কথা, খেলতে হচ্ছে নারী দলের স্টেডিয়াম এস্তাদিও ইয়োহান ক্রুইফে।
আন্তর্জাতিক ফুটবলের জন্য বিরতি শেষে আবার লা লিগা মাঠে গড়াচ্ছে আগামী সপ্তাহে। ফেরার পর মৌসুমের প্রথম ‘হোম ম্যাচ’ খেলবে বার্সা, যে ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ভ্যালেন্সিয়া। কিন্তু বাংলাদেশ সময় আগামী রোববার রাতের ম্যাচটি কোথায় হবে, বার্সা নিজেরাই জানে না। এখনো জানাতে পারেনি লা লিগা কর্তৃপক্ষও। নতুন মৌসুমে বার্সেলোনার চতুর্থ এই ম্যাচের ভেন্যুই যে এখনো চূড়ান্ত হয়নি!
ইয়োহান ক্রুইফ স্টেডিয়ামে আবার ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ নেই। সেখানে আসনসংখ্যা মাত্র ৬ হাজার। লা লিগার নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ম্যাচ আয়োজন করতে হলে স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা অন্তত ৮ হাজার হতে হবে। যদিও স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা জানিয়েছে, বিশেষ বিবেচনায় ছাড় পেতে পারে বার্সা। কিন্তু অনুমোদন পেতে আরও এক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।
বার্সেলোনা আবার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ফিরতে চায় না। ক্যাম্প ন্যুতে সংস্কার শুরুর পর থেকে অলিম্পিক স্টেডিয়ামেই ‘হোম ম্যাচ’ খেলছে বার্সা। কিন্তু এই মৌসুমে সেখানে খেলার যে অগ্রিম প্রস্তুতি, সেটা নেওয়া হয়নি। ফলে নতুন মৌসুমের প্রথম ‘হোম ম্যাচ’ ঘিরে কাতালান ক্লাবটি এখন বিশাল অনিশ্চয়তায়।
বার্সা সমর্থকেরা অবশ্য প্রিয় দলকে আবার চেনা মাঠে দেখার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। ক্যাম্প ন্যুতে ফেরাটা আরও বিশেষ হয়ে উঠবে দলের অনেক খেলোয়াড়ের কাছেও। বর্তমান স্কোয়াডের নয়জন যে এখনো বার্সেলোনার জার্সি গায়ে সেখানে কোনো ম্যাচ খেলেননি!
[caption id="attachment_2992" align="aligncenter" width="755"] বার্সেলোনা দল[/caption]
বার্সেলোনার দুই গোলরক্ষক হোয়ান গার্সিয়া ও ভয়েচেক শেজনির এখনো ক্যাম্প ন্যু অভিষেক হয়নি। শেজনি অবশ্য আগে আর্সেনাল, রোমা ও জুভেন্টাসের হয়ে এই মাঠে খেলেছেন। কিন্তু বার্সার জার্সিতে এই মাঠে খেলাটা তো অবশ্যই বিশেষ কিছু।
রক্ষণভাগে লা মাসিয়ার দুই তরুণ পাউ কুবারসি ও জেরার্দ মার্তিনও জানেন না, মূল দলের হয়ে ক্যাম্প ন্যুতে খেলার অনুভূতি কেমন। মিডফিল্ডারদের মধ্যে ফেরমিন লোপেজ, মার্ক কাসাদো ও দানি ওলমোও অপেক্ষায় আছেন প্রথমবার ঘরের মাঠে নামার।
ফরোয়ার্ডদের মধ্যে মার্কাস রাশফোর্ড অবশ্য ক্যাম্প ন্যুতে খেলেছেন, তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে। সেই ম্যাচে ৩-০ গোলে হেরেছিল ইউনাইটেড। এবার বার্সেলোনার জার্সি গায়ে নামার অপেক্ষায় তিনি।
আরেকজন রুনি বারদাগি—তাঁর জন্য তো সবই নতুন। কুয়েতে জন্ম নেওয়া সুইডিশ ফুটবলার এই মৌসুমেই বার্সায় যোগ দিয়েছেন। আপাতত ক্যাম্প ন্যুতে পা রাখার স্বপ্নে বিভোর ১৯ বছর বয়সী এই উইঙ্গার।