[caption id="attachment_5637" align="aligncenter" width="600"]
নৌকাডুবিতে নিখোঁজ সরেন্দ্র নাথ বর্মনের বড় ছেলে স্বপন চন্দ্র বর্মণ। পাশে স্বপনের মা শান্তি রানী। গত মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চগড়ের নগর সাকোয়া-ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় ছবি : সত্যের পথে[/caption]
‘নৌকাডুবির সময় আমার বাবার পরনে যে ধবধবে সাদা পাঞ্জাবিটা ছিল, ওইটা টরে কাপড়ের। আমার মনে হয় পানিতে ডুবলেও ওই কাপড়টা ১০ বছরেও নষ্ট হবে না। এ জন্য আশায় ছিলাম বাবার লাশের চিহ্ন হিসেবে অন্তত কাপড়টা পাওয়া যাবে। বাবার পাঞ্জাবির এক টুকরা কাপড় খুঁজে পেলেও মাকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম। ওই ঘটনায় আমার দুই বোনসহ পাঁচজন স্বজনের লাশ পেয়েছি। কিন্তু বাবাকে পাইনি। তখন থেকেই মা মাঝেমধ্যে কেমন জানি এলোমেলো কথা বলেন। নিজের হাতে বাবার সৎকারও করতে পারলাম না। তিন বছর হলো, মনে হয় না আর পাওয়া যাবে।’
কথাগুলো বলছিলেন তিন বছর আগে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ সরেন্দ্র নাথ বর্মণের (৬৩) বড় ছেলে স্বপন চন্দ্র বর্মণ (৪০)। এ সময় তাঁর দুচোখে পানি ছলছল করছিল। পাশে বসে নির্বাক হয়ে কথাগুলো শুনছিলেন স্বপনের মা শান্তি রানী (৬১)। কথা শুনতে শুনতে একবার বলে উঠলেন, ‘মানুষটাক আর পানোনি বাপু।’ এ সময় তাঁর দুচোখের কোণে পানি ছলছল করছিল।