

যাত্রাবাড়ীর ধলপুরে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধের ঘটনায় বাবার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির নাম তানভীর (৯)।
আজ সোমবার সকাল সাতটায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।
ইনিস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তানভীরের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
এর আগে গত বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিশুটির বাবা মো. তুহিন হোসাইন (৩৮)। তার শরীরের ৪৭ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন ধলপুর বউবাজার এলাকায় সাত তলা ভবনের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ইউনিটে নেওয়া হয়। বর্তমানে আরও দুজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা হলেন- ইবা আক্তার (৩০) ও ছেলে তাওহীদ (৭)।
ইনিস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, দগ্ধদের মধ্যে ইবা আক্তারের ১৫ শতাংশ ও তাওহীদের শরীরের (৭) ৮ শতাংশ পুড়ে গেছে।
হাসপাতালে নিয়ে আসা ইবা আক্তারের ছোট বোন ফারজানা আক্তার বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সাততলা বাসার রুমে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন সবাই। সে সময়ে এসি থেকে বিস্ফোরণে সারা ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে চারজন দগ্ধ হয়।
তুহিন হোসাইনের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার জেলা কুনিয়া গ্রামে। পেশায় তিনি মোতালেব প্লাজায় মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ করতেন। বর্তমানে যাত্রাবাড়ী থানাধীন দলপুর বউবাজার এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।