বাধন সরকারের পদক্ষেপে অসন্তুষ্টি প্রকাশ

আজমেরী হক বাঁধন

নাটক, মডেলিং কিংবা সিনেমা- সবখানেই মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। কেঁড়েছেন দর্শকদের মনও। পাশাপাশি সাহসী ও স্পষ্টভাষী হিসেবেও সমাজের তার নামডাক আছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে জোরালো ভূমিকা পালন করেছিলেন বাঁধন। সবর ছিলেন ফেসবুকে। তাকে পাওয়া গেছে রাজপথেও। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। সাধারণ জনগণের মতো বাঁধনেরও প্রত্যাশা বেড়ে যায়। তবে গত এক বছরে দেশের পট পরিবর্তন ও সার্বিক পরিস্থিতি তার স্বপ্নভঙ্গ করেছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে হতাশ বাঁধন। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে এসব নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।

কথোপকথনে বাঁধন জানান, দেশে মব কালচার, নারীর প্রতি বিদ্বেষ বেড়েছে। দেশ নিয়ে স্বপ্ন হারাচ্ছে মানুষ।

বাঁধনের কথায়, ‘জুলাইয়ে যারা রাজপথে ছিলাম, একেকজন একেক ইস্যুতে মাঠে নেমেছে। আমি চেয়েছি সাম্যের বাংলাদেশ, মানুষের অধিকার ও ন্যায়বিচারের জন্য। এমন দেশ সব সময়ের চাওয়া। সেই জায়গা থেকে এটা ঐতিহাসিক সুযোগ ছিল বলে মনে করছি। কিন্তু সত্যি বলতে আমাদের প্রত্যাশাও হয়তো বেশি ছিল। আমরা একটা দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। এ কারণে ভালো কাজ করা যে সহজে সম্ভব, তাও নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘মব কালচার, নারীর প্রতি বিদ্বেষ। ভাস্কর্য ভাঙা হয়েছে। স্থাপনা ও মাজার ভাঙা হলো। সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলাও হতাশার। এসব আসলে লজ্জার ও দুঃখের। যে স্বপ্ন দেখেছি, যে সুযোগ ছিল- সেটা হয়তো হারিয়েছি বলে মনে হয় এখন। সরকারের পারফরম্যান্স আমাকে অন্তত আনকমফোর্টেবল করেছে। ডিজহার্টেড (হতাশ) হয়েছি।’

নারীদের প্রতি বৈষম্য বেড়েছে জানিয়ে বাঁধন বলেন, ‘ডানপন্থা বলতে যা বুঝি, যারা এক্সট্রিমিস্ট বা একটা বিষয়ে অন্ধবিশ্বাসী। সেটা আগেও যে ছিল না, তা নয়। যেমন হেফাজতে ইসলাম নামের একটি সংগঠন গঠন হয়েছিল। নারীদের অসম্মানের গল্প তো নতুন নয়। সাংস্কৃতিক বাধা নতুন নয়। এটা ছিলই। হয়তো এভাবে আমাদের কাছে পৌঁছায়নি। কিন্তু বিষয়গুলো হঠাৎ হয়নি। তবে আমি একদমই এসব একসেপ্ট করি না। আমি সম্পূর্ণ স্বাধীনতা চাই। প্রতিটি মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। বিপ্লবটা সেই আশাতেই করেছিলাম।’

Leave a Reply

Scroll to Top