

বগুড়া ও জেলার শেরপুরের মোটরশ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে আজ সোমবার সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে করতোয়া গেটলক পরিবহনের শ্রমিকেরা। এতে মহাসড়কে নামেনি ওই পরিবহনের কোনো বাস।ফলে বগুড়াগামী শত শত যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
জানা যায়, ৩ অক্টোবর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়ার চারমাথা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাস শেরপুর কোচ টার্মিনালে পৌঁছালে ঢাকাগামী যাত্রী তোলা নিয়ে স্থানীয় শ্রমিকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও একই দিন সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের কিছু শ্রমিক শেরপুরের করতোয়া গেটলক পরিবহনের তিনজন শ্রমিককে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে। এর কোনো সমাধান না আসায় করতোয়া গেটলক বন্ধ রেখে কর্মবিরতির এই কর্মসূচি হাতে নেন তারা।
বগুড়া জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের শেরপুর কার্যালয়ের সভাপতি আরিফুর রহমান জানান, গত রোববার রাতে শেরপুর কার্যালয়ে শ্রমিক ও কমিটির নেতৃবৃন্দের এক সভায় এ কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত হয়। ৪ অক্টোবর শনিবার বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কয়েকজন সদস্য বগুড়া শহরের রেলস্টেশন রোড থেকে করতোয়া গেটলকের ১৫টি গাড়ি বের করে দেন। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শেরপুরের শ্রমিকেরা।
শেরপুর কার্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘শেরপুরের শ্রমিকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনার পরও বগুড়ার মোটরশ্রমিক নেতারা বসে মীমাংসা করেননি। এ কারণেই আমাদের শ্রমিকেরা বাধ্য হয়ে কর্মবিরতিতে গেছেন।’
বগুড়া জেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির শেরপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা জানান, করতোয়া গেটলক পরিবহনের শ্রমিকেরা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত রোববার রাতেই মালিক সমিতিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, শেরপুর করতোয়া গেটলক ব্যানারে স্থানীয় বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪৫টি বাস বগুড়া শহরে যাতায়াত করে। এসব বাসে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী শেরপুর, ধুনটসহ পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জের কাজীপুর ও তাড়াশ উপজেলা থেকে বগুড়া শহরে আসা-যাওয়া করেন। কর্মবিরতিতে এসব এলাকার যাত্রীরা চরম ভোগন্তিতে পড়েছেন।