

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টার দিকে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার মাইজগাঁও গ্রামের ব্যবসায়ী লাল মিয়া ও কাজল মিয়ার বসতবাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে এবং পুরো বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সবাই ঘুমিয়ে থাকার সময় হঠাৎ করে বাড়ির একটি কক্ষ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। পরে আগুন দ্রুত পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে পানি ও বালতি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।
খবর পেয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে লাল মিয়ার বসতবাড়িটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দেরিতে হলেও গাড়ি নিয়ে ঠিকই এসেছেন। তবে গাড়িতে পানি মজুদ না থাকায় পুকুরে পাইপ লাগিয়ে পানি মারতে হয় তাদের। এসময় সবই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আগুনে মূল্যবান আসবাবপত্র, কাপড়, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ব্যবসায়ী লাল মিয়া জানান, আমার সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনের তীব্রতা এমন ছিল, পরনের কাপড় ছাড়া কোনো কিছু রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এমনকি দেয়াল পুড়ে ফেটে গেছে। এ ঘটনায় প্রায় অর্ধ কোটি টাকারও উপরে ক্ষতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিনের জমানো সম্পদ এক রাতেই শেষ হয়ে গেছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সাইদ হাসান শুভ জানান, ঘরের দেয়াল ছাড়া সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ ৩৫/৪০ লাখ টাকা হতে পারে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট অথবা রান্নাঘরের সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে এসেছেন তারা। রাস্তা সরু থাকায় পানিভর্তি গাড়ি সেখানে ঢুকানো সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।