[caption id="attachment_4740" align="aligncenter" width="600"]
কারিনা কাপুর খান। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে[/caption]
এই সময়ের বলিউড তারকাদের অন্যতম কারিনা কাপুর খান। নিজের প্রতিভা, সাহসী চরিত্র বেছে নেওয়া আর অব্যাহত সাফল্যের মধ্য দিয়ে তিনি দাঁড় করিয়েছেন এক আলাদা পরিচিতি। আজ অভিনেত্রীর জন্মদিন, ৪৫-এ পা দিলেন কারিনা। ১৯৮০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জন্ম কারিনার। জন্মদিন উপলক্ষে আলো ফেলা যাক অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারে।
শুরুটা সহজ ছিল না
২০০০ সালে জেপি দত্তর ‘রিফিউজি’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় কারিনার। ছবিটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হলেও নতুন নায়িকা হিসেবে তাঁর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এই ছবির জন্যই পান ফিল্মফেয়ার সেরা নবাগত নায়িকার পুরস্কার। মজার বিষয় হলো, তিনি নিজেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ‘কাহো না…পেয়ার হ্যায়’-এর প্রস্তাব, যা পরবর্তী সময়ে হয়ে ওঠে বছরের সবচেয়ে বড় হিট। বাণিজ্যিক সাফল্যের সহজ পথে না গিয়ে তিনি বেছে নিয়েছিলেন নিজের মতো করে চলার রাস্তা।
‘পু’ থেকে ‘চামেলি’: বদলে যাওয়া চেহারা
২০০১ সালে করণ জোহরের ‘কাভি খুশি কাভি গম’-এ তাঁর চরিত্র পু সময়ের অন্যতম চরিত্র। এখনো সেই সংলাপ, ভঙ্গিমা মিম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে আছে। কিন্তু একই সঙ্গে এই চরিত্র তাঁকে ‘গ্ল্যামারাস নায়িকা’র ছাঁচে আটকে দেয়।
সেই ছাঁচ ভাঙতে কারিনা বেছে নিলেন ভিন্ন পথে হাঁটার সাহস।
[caption id="attachment_4741" align="aligncenter" width="600"] কারিনা কাপুর খান[/caption]
২০০৪ সালে ‘চামেলি’ ছবিতে এক যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করে তিনি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়োলেন। এরপর ২০০৬ সালে বিশাল ভরদ্বাজের ‘ওমকারা’য় ডলি মিশ্র চরিত্রে অভিনয় তাঁকে এনে দেয় ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার। এক কথায়, তিনি প্রমাণ করলেন, কারিনা শুধু সৌন্দর্য নয়, তিনি অভিনয়শিল্পীও।
‘জব উই মেট’: এক মোড় ঘুরে যাওয়া মুহূর্ত
২০০৭ সালে ইমতিয়াজ আলীর ‘জব উই মেট’ ছবির গীত হয়ে ওঠে কারিনা কাপুরের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় মোড়। প্রাণবন্ত, আত্মবিশ্বাসী এক তরুণীর চরিত্র দর্শকের হৃদয় জয় করে নেয়। ‘ম্যায় আপনি ফেভারিট হুঁ’ সংলাপ আজও জনপ্রিয়। ছবির জন্য তিনি জেতেন ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার।
[caption id="attachment_4742" align="aligncenter" width="600"] কারিনা কাপুর খান[/caption]
২৫ বছরের ধারাবাহিকতা
তিন দশকের কাছাকাছি সময় ধরে কারিনা শুধু একজন নায়িকা নন, হিন্দি সিনেমার অন্যতম আলোচিত চরিত্র। ‘গোলমাল ৩’-এ টমবয় থেকে শুরু করে ‘উড়তা পাঞ্জাব’-এ চিকিৎসকের চরিত্র কিংবা থ্রিলার ‘জানে জা’; সব ক্ষেত্রেই তিনি নিজেকে নতুনভাবে হাজির করেছেন। তাঁর উত্তরাধিকার শুধু কাপুর পরিবারের বংশগৌরব নয়, বরং এক নারী শিল্পীর নিজের পথ তৈরি করার কাহিনি। বলিউডে যেখানে স্থায়িত্ব দুর্লভ, সেখানে কারিনা কাপুর খান আজও সাফল্য আর স্টাইলের চিরসবুজ প্রতীক।
২০০০ সালে ‘রিফিউজি’ দিয়ে অভিষেকের পর থেকে এ পর্যন্ত ৬০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন কারিনা। ‘কাভি খুশি কাভি গম’ (২০০১) দিয়ে জনপ্রিয়তা, ‘চামেলি’ (২০০৪), ‘ওমকারা’ (২০০৬) ‘আর জব উই মেট’ (২০০৭) দিয়ে সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। আজ তাঁর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৮৫ কোটি রুপি (৬০০ কোটি টাকার বেশি)। বাণিজ্যিকভাবে সফল ছবি আর একের পর এক প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনই তাঁকে এনেছে এই অবস্থানে।
সামনে কারিনাকে দেখা যাবে বেশ কয়েকটি নতুন সিনেমায়।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়াডটকম