

চলতি বছরের অক্টোবরে পাঠাও ১০ বছরে পা রাখছে। ২০১৫ সালে এক সাহসী স্বপ্ন থেকে শুরু হওয়া যাত্রা আজ পরিণত হয়েছে দেশের প্রথম সুপার অ্যাপে, যা লাখো মানুষকে সংযুক্ত করেছে, হাজারো মানুষকে স্বাবলম্বী করেছে এবং যাতায়াত, খাওয়া, ডেলিভারি ও পেমেন্টের অভিজ্ঞতাকে বদলে দিয়েছে। আজ ১০ বছর পর, পাঠাও আর শুধু জীবনের অংশ নয়, এটি প্রতিদিনের লাইফস্টাইল।
এক দশকের অর্জন ও সাফল্য
প্ল্যাটফর্ম—পাঠাওয়ের পথচলা এক দৃঢ়তা, অগ্রযাত্রা ও কৃতজ্ঞতার গল্প। গত এক দশকে পাঠাও তিন লাখেরও বেশি রাইডার, ক্যাপ্টেন, ফুডম্যান ও ডেলিভারি এজেন্টকে ক্ষমতায়ন করেছে। দুই লাখ ব্যবসায়ীর সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছে এবং এক কোটিরও বেশি ইউজারকে আরও সহজ, দ্রুত ও স্মার্ট জীবনের সঙ্গে যুক্ত করেছে। পাঁচ লাখেরও বেশি আয়ের সুযোগ তৈরি করে পাঠাও এখন বাংলাদেশের ডিজিটাল উন্নয়নের অন্যতম কেন্দ্র, যা মানুষকে এগিয়ে যেতে, উপার্জন করতে এবং একসঙ্গে বিকশিত হতে সহায়তা করছে।
এই অর্জন দেশ পেরিয়ে পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও, ২০২৫ সালে পাঠাও ‘সুপারব্র্যান্ড’ উপাধি পেয়েছে ‘সুপার অ্যাপ’ বিভাগে। এই সম্মান অর্জিত হয়েছে প্রত্যেক রাইডার, ড্রাইভার ও ব্যবহারকারীর আস্তার জন্য, যারা এই যাত্রাকে সম্ভব করেছেন। এ ছাড়া পাঠাও স্থান পেয়েছে ফোর্বসের ‘টপ হানড্রেড টু ওয়াচ ইন এশিয়া’ তালিকায়, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রাকে তুলে ধরেছে বিশ্বমঞ্চে।
পুরো মাস জুড়ে অফার, গেম ও গিভঅ্যাওয়ে!
অপেক্ষার দিন শেষ, সব অ্যানিভার্সারি অফার এখন লাইভ! ৯ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত পাঠাওয়ের ‘টেন ইয়ার্স অব গ্রোয়িং উইথ ইউ’ সেলিব্রেশনে থাকছে দারুণ সব ডিসকাউন্ট, গেম এবং বিশাল গিভঅ্যাওয়ে। পাঠাও বাইক, কার, ফুড ও ইন্টারসিটিতে আছে মোট এক হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট, আর পাঠাও পে-তে এক্সট্রা ৩০০ টাকা ক্যাশব্যাক! পাঠাওয়ের সঙ্গে প্রতিটি অর্ডার, রাইড ও মুহূর্তের জন্য এটি এক বিশেষ ধন্যবাদ জানানোর সুযোগ।
ট্রেজার হান্ট: অ্যাপে আর শহরজুড়ে জমজমাট খেলা!
ট্রেজার হান্ট এখন পাঠাও অ্যাপে লাইভ! টানা ২৮ দিনে প্রতিদিন থাকছে নতুন হিন্ট, লুকানো ট্রেজার আর ফোন দুইবার শেক করে ২০০ পয়েন্টস জেতার সুযোগ। প্রতি সপ্তাহে ১০ জন বিজয়ী পাবেন ওরাইমো বাংলাদেশের সৌজন্য মোট পাঁচ লাখ টাকার পুরস্কার। এখন অপেক্ষা করছে সাপ্তাহিক পুরস্কার, গ্র্যান্ড সারপ্রাইজ আর চূড়ান্ত ট্রেজার হান্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ! যত বেশি খেলা, তত বেশি থাকবে জেতার সুযোগ।
দশে ১০ কুইজ
পাঠাও আর বাংলাদেশ সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলে এখনই সুযোগ এক লাখ টাকার রিওয়ার্ড জেতার! অংশ নিতে হবে দশে ১০ কুইজে। এটি পাওয়া যাবে সোশ্যাল মিডিয়া, ইন-অ্যাপ কার্ড এবং অন-গ্রাউন্ড জোনে। কিউআর কোড স্ক্যান করে প্রতিদিনের প্রশ্নের উত্তর দিলে লিডারবোর্ডে টপ করে পাওয়া যাবে এক্সাইটিং রিওয়ার্ড!
উইশ পাঠাও: স্বপ্ন হবে সত্যি!
সবার প্রিয় মেক অ্যা উইশ এবার ফিরে এসেছে উইশ পাঠাও হিসেবে! এবার পাঠাও পূরণ করবে ১০ জন ইউজার এবং ১০ জন পাঠাও হিরোর স্বপ্ন! সোশ্যাল মিডিয়া, কুরিয়ার হাব বা ইন-অ্যাপ কার্ডের মাধ্যমে শেয়ার করতে হবে উইশ। আর নির্বাচিত হলে সেটা পূরণ হবে বিশেষ উইশ ফুলফিলমেন্ট অনুষ্ঠানে।
এই সেলিব্রেশন পুরো পাঠাও পরিবারের জন্য! পাঠাও ফুডের প্রিয় রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে পার্টনার ব্র্যান্ড, সবাই জয়েন করছে এই উৎসবে। থাকছে, বিশেষ গিভঅ্যাওয়ে আর শহরজুড়ে এক্সাইটিং অ্যাক্টিভেশন! আর হ্যাঁ, এই মাসে প্রতিটি রাইড বা অর্ডারেই আছে আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স জেতার সুযোগ!
আগামীর পথে
এই অর্জন নিয়ে পাঠাওয়ের সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, ‘গত ১০ বছর ধরে পাঠাও বাংলাদেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে, যাত্রায়, উপার্জনে এবং গ্রো করতে সাহায্য করছে। এই সাফল্য পাঠাওয়ের প্রতিটি ইউজার, রাইডার, মার্চেন্ট ও পার্টনারের। সুপারব্র্যান্ডস এবং ফোর্বসের টপ হানড্রেড ওয়াচ ইন এশিয়ায় স্থান পাওয়া আমাদের সবার জন্য গর্বের একটি মুহূর্ত। আমরা যেমন গত ১০ বছর একসঙ্গে গ্রো করেছি, তেমনি আগামী বছরগুলোতেও বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে আরও এগিয়ে যেতে চাই। এক দশকের এই যৌথ যাত্রা আরও অনেকটা পথচলার শুরু মাত্র।’
পাঠাও সম্পর্কে
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও এমন একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে, যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। এক কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী, তিন লাখ চালক ও ডেলিভারি এজেন্ট, দুই লাখ মার্চেন্ট এবং ১০ হাজার রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে পাঠাও। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে পাঁচ লাখেরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে।