[caption id="attachment_4118" align="aligncenter" width="600"]
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় মানব পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক চীনা নাগরিকসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার ভোরে ছবি: সত্যের পথে[/caption]
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় মানব পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক চীনা নাগরিকসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার ভোরে পৌরসভার কমলপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাঁদের আটক করে। এ সময় তিন কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
আটক হওয়া চীনা নাগরিকের নাম লি ওই হাও (৩২)। আর তাঁর সহযোগী হলেন ফরিদুল ইসলাম (৩৪)। তিনি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সুখদেব পশ্চিম পাড়া গ্রামের আবদুল হানিফ মিয়ার ছেলে। নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কেন্দুয়া পৌরসভার কমলপুর এলাকার ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ১ সেপ্টেম্বর লি বিয়ে করেন। এতে সহযোগিতা করেন ফরিদুল ইসলাম। ওই কিশোরী রাজধানীতে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। কিশোরীকে ২০ সেপ্টেম্বর চীনে নিয়ে যাবেন বলে জানান লি ওই হাও। এ ছাড়া ওই কিশোরীর পরিবারকে এক লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। গতকাল রোববার কিশোরীকে নিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে লি কেন্দুয়ায় যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে সহযোগী ফরিদুল ইসলাম ছাড়াও জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার গোপী নদী এলাকার ১৭ বছরের এক কিশোরী ও কেন্দুয়া উপজেলার গগডা গ্রামের ১৯ বছরের এক তরুণী সেখানে যান। তাঁদের মধ্যে জামালপুরের ওই কিশোরীকে লি ওই হাওয়ের এক বন্ধু চীনা নাগরিক ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকার একটি এলাকায় বিয়ে করেন। তাঁকেও চীনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বিয়ে করা হয়। কেন্দুয়ার গগডা এলাকার কিশোরীকেও চীনে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ