দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটছে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, দেশ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হয়েছে। কিন্তু গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ থেকে এখন সাম্প্রদায়িকতার উগ্র উন্মাদনা সৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। যেটার মধ্য দিয়ে মব তৈরি হচ্ছে।
আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জুলাই বিপ্লব এবং আগামীর গণতন্ত্র ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেন। এই আলোচনা সভার আয়োজন করে হিউম্যান রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশন (হিউরাফ)।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, গণতন্ত্রের পথে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে না রাখতে পারলে সাম্প্রদায়িক শক্তি মুক্ত চিন্তা, প্রতিভার বিকাশ করতে দেবে না।
বিএনপি ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ধর্মে যেটা পাপ, আধুনিক রাষ্ট্রের আইনে সেটা অন্যায়। ধর্মের সঙ্গে রাষ্ট্রব্যবস্থার সাংঘর্ষিক ব্যাপার নেই।
বৈষমবিরোধী আন্দোলনকারীরা নতুন করে বৈষম্য তৈরি করছেন বলেও অভিযোগ করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ অনন্তকাল। যদি তা না হয় তাহলে সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার করার সময় এখনো কেন হয় না। সরকার পরিবর্তনের পর যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে পারে, তাদের দুই বছর লাগে কেন বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া প্রশাসন সব চালাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘সরকারের কোনো কাজকর্ম আছে, চোখে পড়ে? তিন-চারজন ছাড়া কেউ কোনো কথা বলে? মন্ত্রণালয় কীভাবে চলে, কোন মন্ত্রণালয়ে কী হচ্ছে, কেউ খবর রাখে?’
নেপালে পিআর ব্যবস্থা আছে উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এ জন্য সেখানে সকাল-বিকাল প্রধানমন্ত্রী পাল্টায়। সকালে প্রধানমন্ত্রী একজন, দুপুরে আরেকজন, রাতের বেলা আরেকজন।
হিউরাফের আহ্বায়ক আহমেদ হুসেইনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মো. সাহিদুল হক দেওয়ানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্মসচিব আবদুস সালাম আজাদ, বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী প্রমুখ।