স্থানীয় সরকারের বিরোধিতা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে সামরিক বাহিনী মোতায়েনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টা দেশটির “ব্লু স্টেট” গভর্নরদের সঙ্গে নতুন এক সংঘাতের জন্ম দিয়েছে, যা এখন গড়িয়েছে আদালতে। ট্রাম্প এমন এক আমেরিকা কল্পনা করছেন যেখানে সশস্ত্র সৈন্যরা দেশের রাস্তায় টহল দেবে।
ট্রাম্প ইতোমধ্যেই ন্যাশনাল গার্ডের দেশীয় ব্যবহারের মাধ্যমে প্রচলিত সীমারেখা অতিক্রম করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীকে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ও শহরাঞ্চলে অপরাধ দমনে আরও সক্রিয় ভূমিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওরেগনে এবং টেক্সাস গার্ডদের ইলিনয়ে পাঠানোর ট্রাম্পের প্রচেষ্টা প্রেসিডেন্টিয় ক্ষমতার এক বিস্তৃত প্রয়োগের উদাহরণ। ডেমোক্র্যাট-নেতৃত্বাধীন অঙ্গরাজ্যগুলোর দায়ের করা মামলাগুলোর পরবর্তী ধাপগুলোতে এখন সাংবিধানিক আইন, ফেডারেল কাঠামো এবং ক্ষমতার বিভাজন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো সামনে আসবে- যা আদালত ও ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক ন্যাশনাল গার্ড ব্যবহারের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাতের পথ তৈরি করছে।
গত সপ্তাহে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোকে সৈন্যদের প্রশিক্ষণক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহারের আহ্বান জানান এবং ভেতর থেকে আসা এক আগ্রাসন-এর হুঁশিয়ারি দেন।
তবে সমালোচকদের মতে, ট্রাম্পের ন্যাশনাল গার্ড ব্যবহারের এই পদক্ষেপ আসলে আমেরিকান নাগরিকদের বিরুদ্ধেই ভয়াবহ শক্তি প্রয়োগের এক উদাহরণ।
নিউইয়র্ক সিটির কারডোজো স্কুল অব ল-এর সাংবিধানিক আইন বিশেষজ্ঞ অ্যালেক্স রেইনার্ট প্রশ্ন তুলেছেন, ‘যদি আদালতে প্রেসিডেন্ট হেরে যান, তখন কী হবে?’
তিনি বলেন, ‘তিনি কি সেটাকে আরও স্বৈরাচারী আচরণের অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করবেন?’
তবে ট্রাম্প বলেন, ‘স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সমাজকে সুরক্ষিত রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।’ উদাহরণ হিসেবে কয়েকটি ডেমোক্র্যাট-নেতৃত্বাধীন শহরের নাম উল্লেখ করেন তিনি। পোর্টল্যান্ডকে “যুদ্ধ বিধ্বস্ত” এবং “যুদ্ধক্ষেত্র” হিসেবে বর্ণনা করেছেন ট্রাম্প। যা “দগ্ধ” এবং “নরকের মতো বসবাসের জায়গা” বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।