তবে অনেক প্রকল্প ঝুঁকি ও বিনিয়োগকারীদের অনীহার কারণে সহজে বাণিজ্যিক ঋণদাতাদের সহায়তা পায় না।
ফাস্ট-পি-এর তিনটি তহবিল স্তম্ভ হলো, গ্রিন ইনভেস্টমেন্টস পার্টনারশিপ, একসেলেরাটিং এনার্জি ট্রানজিশন এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রান্সফরমেশন — বিশেষত সিমেন্ট ও ইস্পাতের মতো উচ্চ নির্গমন খাত এবং কার্বন অপসারণ প্রযুক্তি।
এর মধ্যে গ্রিন ইনভেস্টমেন্টস পার্টনারশিপ থেকে ইতিমধ্যে ৫১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে টেমাসেক, এইচএসবিসি, অস্ট্রেলিয়ান ও ইউরোপীয় সরকারসহ বিশ্বব্যাপী ও আঞ্চলিক বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন, ডাচ এন্টারপ্রেনারিয়াল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট, ব্যাংক অফ দ্য ফিলিপাইন আইল্যান্ডস এবং অলায়েড ক্লাইমেট পার্টনারসও তহবিলে অর্থায়ন করছে। অস্ট্রেলিয়ান সরকার তাদের রপ্তানি অর্থায়ন সংস্থা ‘এক্সপোর্ট ফাইন্যান্স অস্ট্রেলিয়া’-এর মাধ্যমে এবং ইউরোপীয় কমিশন গ্লোবাল গেটওয়ে’ কর্মসূচির মাধ্যমে সহায়তা দিচ্ছে।
এমএএস বলেছে, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অবকাঠামো বিনিয়োগের ঝুঁকি কমিয়ে আনার মধ্য দিয়ে ফাস্ট-পি সীমিতভাবে ব্যাংকযোগ্য বা ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্পগুলোতেও অর্থায়নের সুযোগ তৈরি করবে। কারণ প্রকল্প উন্নয়ন ও নির্মাণ পর্যায়ে প্রায়ই অর্থের ঘাটতি থাকে, যা এই উদ্যোগ পূরণে সহায়ক হবে। সিঙ্গাপুর সরকার জানিয়েছে, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ তারা ফাস্ট-পিতে অতিরিক্ত ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। এ ছাড়া ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে ফাস্ট-পি নিজস্ব অফিস চালু করবে এবং একজন প্রধান নির্বাহী নিয়োগ দেবে।