টাঙ্গাইলে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি চাওয়া নারীকে মারধরের ঘটনায় ৩ জন গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলের সখীপুরে গাছের সঙ্গে বেঁধে নারীকে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়া এক নারীকে (৩০) গাছে বেঁধে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন অভিযুক্ত তরুণ আবদুর রশিদ (২১), তাঁর বাবা আব্বাস আলী (৫০) ও মা চন্দ্রা ভানু (৪৫)। আজ শনিবার সকালে তাঁদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার একটি গ্রামে ওই নারীকে গাছে বেঁধে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গতকাল দুপুরে ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় মামলা করেন। মামলার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা যায়, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে বছরখানেক আগে রশিদ ও ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় ছয় মাস আগে তাঁরা আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন। তবে সম্প্রতি রশিদ ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এবং বিয়ে অস্বীকার করেন।

এরপর স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে রশিদের বাড়িতে গিয়ে অনশনে বসেন ওই নারী। একপর্যায়ে দুপুরে রশিদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে গাছে বেঁধে মারধর করেন। এতে তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় একজন গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যান। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও দেখে ওই নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তাঁর বাবা।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া বলেন, মামলা হওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


Leave a Reply

Scroll to Top