প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ৭, ২০২৫, ৮:২৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫, ২:১৪ অপরাহ্ণ
গ্রহাণুর ধাক্কায় ৭ কোটি ৮০ লাখ বছর আগে পৃথিবীর চেহারা কেমন বদলেছিল
[caption id="attachment_4855" align="aligncenter" width="600"]
গ্রহাণু ফাইল ছবি: নাসা[/caption]
প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখ বছর আগে একটি গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত করেছিল। সেই গ্রহাণুর কারণে তৈরি হয়েছিল বিশাল খাদ। তবে সেই খাদ থেকেই জীবাণুর বিকাশ ঘটে জীবনের সূচনা হয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের মতে, বিশাল সেই গ্রহাণু আঘাত হানার পরপরই ফিনল্যান্ডের লাপ্পাজারভি ইমপ্যাক্ট ক্রেটারে জীবাণুর বিকাশ ঘটেছিল।
সুইডেনের লিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল পশ্চিম ফিনল্যান্ডের লাপ্পাজারভি ইমপ্যাক্ট ক্রেটারে জীবাণুর উত্থানের তারিখ নির্ধারণ করতে গবেষণা করছে। বিশাল উল্কাপিণ্ডের আঘাতের ফলে তৈরি গর্ত যেভাবে জীবাণুর বিকাশ ঘটিয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। গ্রহাণুর আঘাতের পরে সৃষ্ট হাইড্রোথার্মাল সিস্টেমের ভেতরে মাইক্রোবিয়াল সম্প্রদায় বিকাশ লাভ করেছিল। এই গবেষণার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনো খাদ বা ক্রেটারে জীবনের বিকাশের জন্য সুনির্দিষ্ট সময় সম্পর্কে জানা গেল। গবেষণার ফলাফল নেচার কমিউনিকেশনস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন এই আবিষ্কার মঙ্গলসহ অন্যান্য গ্রহে গ্রহাণুর প্রভাব বিশ্লেষণে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োগের সুযোগ দেবে। গ্রহাণুর আঘাত ধ্বংসাত্মক হলে নতুন জীবন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। এ বিষয়ে সুইডেনের লিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী হেনরিক ড্রেক বলেন, প্রথমবারের মতো আমরা জিও-ক্রোনোলজিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার করে উল্কাপিণ্ডের আঘাতের সঙ্গে জীবাণুর কার্যকলাপকে সরাসরি যুক্ত করতে পেরেছি। গ্রহাণুর কারণে সৃষ্ট খাদ জীবনের আবাসস্থল হিসেবে কাজ করতে পারে। আঘাতের পরও প্রাণের বিকাশের সুযোগ থাকে। অত্যাধুনিক আইসোটোপিক বায়োসিগনেচার বিশ্লেষণ ও রেডিওআইসোটোপিক ডেটিং ব্যবহার করা হয়েছে। প্রথমে মাইক্রোবিয়াল সালফেট কমে যাওয়ার বিষয়টি সন্ধান করা হয়। প্রায় ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তখন প্রাণের আবির্ভাব হয়।
লিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জ্যাকব গুস্তাফসন বলেন, ‘সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আমরা জীবনের লক্ষণ দেখতে পেয়েছি। এ ছাড়া সেই ঘটনা কখন ঘটেছিল, তা আমরা ঠিক জানতে পারছি। একটি সময়রেখার ধারণা পেয়েছি আমরা।’
Sotterpothe