

- বাস্তুচ্যুতি ও মানবিক বিপর্যয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা
- সহায়তা সংস্থাগুলোর কঠোর চাপের আহ্বান
- ফিলিস্তিনিদের আবারো তাদের ভূমি থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হচ্ছে : পোপ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় নগরী গাজা সিটিতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ব্যাপক স্থল হামলা শুরু করেছে। এ হামলায় ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গাজা সিটি দখলের জন্য ইসরাইলি বাহিনী তীব্র বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালাচ্ছে এবং ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদে সামরিক কৌশল ব্যবহার করছে।
স্থানীয়দের বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) অঞ্চলটির প্রধান আবাসিক এলাকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সতর্ক করেছে যে, গাজা সিটিতে ইসরাইলি অভিযানের ফলে মৃতের সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে যাবে।
এ দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারো ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তি দেয়ার জন্য হামাসকে কড়া বার্তা দিয়েছেন। এ ছাড়া, পশ্চিমতীরের নাবলুসেও ইসরাইলি সেনাদের অভিযান চলছে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে যে, কাফর কিল্লাল শহরে আইডিএফ শব্দ বোমা নিক্ষেপ করেছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বর্ধিত এই স্থল হামলায় তাদের দু’টি ডিভিশন অংশ নিয়েছে, যেখানে ২০ হাজারেরও বেশি সেনা রয়েছে। গাজা সিটিতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বসবাস করত। ইসরাইল এ হামলা শুরুর আগে শহরটির সব বাসিন্দাকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এখনো সেখানে প্রায় ৬ লাখ মানুষ রয়ে গেছেন।
ইসরাইলি সেনারা গতকাল বুধবার ভোর থেকে গাজা সিটিতে পূর্ণমাত্রার স্থল ও বিমান অভিযান চালাতে থাকে। আন্তর্জাতিক মহলের ক্রমবর্ধমান নিন্দা সত্ত্বেও ইসরাইল গাজার সবচেয়ে বড় শহরে হামলা অব্যাহত রেখেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে গাজায় অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে ৩৮ জন নিহত হয়েছেন গাজা শহরে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলের আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৪ হাজার ৯৬৪ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে এক লাখ ৬৫ হাজার ৩১২ জন।
গাজার পশ্চিমের শাতি শরণার্থী শিবিরে এক মা ও তার সন্তান বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় রিমাল, দারাজ, সাবরা, শেখ এজলিন ও নাসর এলাকায় হামলা আরো তীব্র হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ দক্ষিণমুখী সড়কে পালাচ্ছে- অনেকে কেবল গায়ের কাপড় নিয়ে বের হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গাজা শহরে বোমাবর্ষণ নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে, নির্বিচার বিস্ফোরণে ডজনেরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ইসরাইলি নৌবাহিনীর নৌকা, ট্যাংক ও যুদ্ধবিমান একযোগে হামলায় অংশ নিচ্ছে। ইসরাইলের আগ্রাসনের ফলে হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার ফলে প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতে পারে। টেল আল-হাওয়া সড়কের আল-কুদস হাসপাতালের সামনে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে বহু পরিবারকে, যারা হাতে ছোট ছোট ব্যাগ, তোশক ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিয়ে হাসপাতালের দরজায় জটলা করছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কার্যকর হাসপাতালের জরুরি বিভাগগুলো ভয়াবহ ভিড়ে নাজেহাল, রক্ত ও ওষুধের মজুদ প্রায় শেষ।
অসহনীয় যুদ্ধ : জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আজ গাজায় যা ঘটছে তা ভয়ঙ্কর। আমরা যে হারে বেসামরিক মানুষ হত্যার ঘটনা দেখছি, তা আমার দায়িত্বকালে কোনো সঙ্ঘাতে দেখিনি। তিনি এই যুদ্ধকে ‘নৈতিক, রাজনৈতিক ও আইনি দিক থেকে অসহনীয়’ বলে উল্লেখ করেছেন। জাতিসঙ্ঘের তদন্ত কমিশনের সর্বশেষ ৭২ পৃষ্ঠার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা কনভেনশনের অন্তত চারটি ধারা লঙ্ঘন করেছে এবং গাজায় একটি জনগোষ্ঠী হিসেবে ফিলিস্তিনিদের ধ্বংস করার ইচ্ছা প্রদর্শন করেছে। এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে প্রামাণ্য আন্তর্জাতিক রায়।
বাস্তুচ্যুতি ও মানবিক বিপর্যয় : আলজাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হামদি আবু তাবক নামে এক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি বলেন, দক্ষিণেও কোনো নিরাপদ স্থান নেই। আমরা সাধারণ নাগরিক, শান্তি চাই। দুই বছর ধরে আমাদের শিশুদের স্কুল বন্ধ। চিকিৎসা নেই, শ্বাসকষ্টে ভুগছি। বিশ্বকে বলছি- এই যুদ্ধ বন্ধ করুন। প্যালেস্টিনিয়ান এনজিও নেটওয়ার্কের পরিচালক আমজাদ শাওয়া সতর্ক করে বলেছেন, ‘এটি একটি মানবিক বিপর্যয়। হাজার হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। গাজা সিটিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস ও ফিলিস্তিনিদের বিতাড়নই ইসরাইলের লক্ষ্য।’
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া : সৌদি আরব ‘সবচেয়ে কঠোর ভাষায়’ ইসরাইলি স্থল অভিযানের নিন্দা করেছে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল বলেছেন, এই তীব্রতা সম্পূর্ণ ভুলপথে একটি পদক্ষেপ। যুক্তরাজ্যের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার বলেছেন, এই হামলা আরো রক্তপাত ডেকে আনবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান কায়া কাল্লাস বলেছেন, এ অভিযান ‘আরো মৃত্যু, ধ্বংস ও বাস্তুচ্যুতি’ বাড়াবে। ইইউ বুধবার ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পদক্ষেপ প্রস্তাব করবে। ভ্যাটিকানে সাধারণ দর্শকদের উদ্দেশে বক্তব্যে পোপ লিও চতুর্দশ বলেছেন, গাজার মানুষ ‘আবারো জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত’ হচ্ছে এবং ‘অগ্রহণযোগ্য পরিস্থিতিতে’ বসবাস করছে। তিনি যুদ্ধবিরতি, বন্দীমুক্তি এবং কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানান।
আঞ্চলিক উত্তেজনা : ইসরাইলি বাহিনী ২৩ মাসের যুদ্ধের নতুন পর্যায় শুরু হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘গাজা জ্বলছে। সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে লৌহমুষ্টি প্রয়োগ করা হচ্ছে।’ অন্য দিকে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ইসরাইলের দোহা আক্রমণের পর জর্ডানে সফর করছেন। আরব-ইসলামী দেশগুলো যৌথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
গাজা সিটি কার্যত বিচ্ছিন্ন : গাজা সিটি ক্রমে বাইরের বিশ্বের সাথে যোগাযোগহীন হয়ে পড়ছে। ফিলিস্তিনি টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরাইলি বিমান হামলায় উত্তর গাজার মূল নেটওয়ার্ক লাইন ধ্বংস হওয়ায় ইন্টারনেট ও টেলিফোন সেবা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের একাধিক চেষ্টা সত্ত্বেও শহরের বাসিন্দাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল, আনেরা, সেভ দ্য চিলড্রেনসহ ২০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, জাতিসঙ্ঘের কমিশন অব ইনকোয়ারি গাজায় ‘গণহত্যা’ চলছে বলে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কেবল নিন্দা নয়, কার্যকর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা : ইউরোপীয় কমিশন ইসরাইলের সাথে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি আংশিক স্থগিত করার প্রস্তাব দিয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির, অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ, সহিংস বসতি স্থাপনকারী ও হামাস সদস্যদের ওপরও নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজের প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিশনের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান কায়া কাল্লাস বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য ইসরাইলকে শাস্তি দেয়া নয়, বরং গাজার মানবিক পরিস্থিতি উন্নত করা। তবে জার্মান সরকার বলেছে, তারা এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত অবস্থান নেয়নি।
গাজা সিটি ছাড়তে বাসিন্দাদের জন্য অস্থায়ী রুট ইসরাইলের : গাজা সিটি থেকে বেসামরিক মানুষদের সরিয়ে নিতে নতুন একটি অস্থায়ী রুট খোলা হচ্ছে বলে বুধবার জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় নগরকেন্দ্রে হামাসকে দমনে ব্যাপক স্থল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। গাজা সিটিতে মঙ্গলবার ভোরে তীব্র বোমাবর্ষণের পর সেনারা শহরের আরো গভীরে প্রবেশ করে। ইসরাইলি সেনারা বুধবার জানিয়েছে, ‘সালাহ আল-দ্বিন স্ট্রিটের মাধ্যমে একটি অস্থায়ী পরিবহন করিডর’ খোলা হচ্ছে। এএফপির প্রকাশিত ছবিতে গাজায় নতুন করে হামলার দৃশ্য দেখা গেছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর আরবিভাষী মুখপাত্র কর্নেল আভিখাই আদরেই বলেন, করিডোরটি বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর থেকে ৪৮ ঘণ্টা খোলা থাকবে। এর আগে সেনারা গাজা সিটি থেকে উপকূলীয় সড়ক দিয়ে দক্ষিণের আল-মাওয়াসিসহ তথাকথিত মানবিক এলাকায় যেতে বেসামরিক মানুষদের অনুরোধ করছিল। সালাহ আল-দ্বিন স্ট্রিট গাজা উপত্যকার উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত বিস্তৃত।
আগস্টের শেষ দিকে জাতিসঙ্ঘ অনুমান করেছিল, গাজা সিটি ও আশপাশে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বসবাস করছিল। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে নতুন করে মানুষের স্রোত দক্ষিণমুখী হতে দেখা গেছে। ইসরাইলি সেনাদের হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ দক্ষিণে পালিয়েছে। তবে গাজার অনেক ফিলিস্তিনি এএফপিকে বলেছে, পুরো ভূখণ্ডেই কোনো নিরাপদ স্থান নেই, তাই আবারও বাস্তুচ্যুত হওয়ার চেয়ে তারা নিজেদের ঘরেই মরতে প্রস্তুত। বাসিন্দারা মঙ্গলবার জানিয়েছেন, গাজা সিটিতে বোমাবর্ষণ নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে, শহরের বড় একটি অংশ আগের প্রায় দুই বছরের ইসরাইলি হামলায়ই ধ্বংস হয়ে গেছে। শহরের উত্তরাংশে এক আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে কেবল ধ্বংসস্তূপ পড়ে আছে।
ফিলিস্তিনিদের আবারো তাদের ভূমি থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হচ্ছে : পোপ
অবরুদ্ধ গাজার জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করে ফিলিস্তিনিদের আবারো জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির নিন্দা জানিয়েছেন ক্যাথলিক চার্চের প্রধান পোপ লিও। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সাধারণ শ্রোতাদের সাথে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘আমি গাজার ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে আমার গভীর সংহতি প্রকাশ করছি- যারা ভয়ে বাস করছে, অগ্রহণযোগ্য পরিস্থিতিতে বেঁচে আছে এবং তাদের ভূমি থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হচ্ছে।’
দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজা সম্পূর্ণ দখলে নেয়ার অভিযানের অংশ হিসেবে ব্যাপক বোমাবর্ষণের সাথে স্থল আক্রমণ তীব্র করেছে। শহরের লাখ লাখ বাসিন্দাকে উচ্ছেদে অবৈধ কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে। পোপ বলেন, আমি যুদ্ধবিরতি, বন্দীদের মুক্তি, আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক সমাধান এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধার জন্য আমার আবেদন পুনর্নবীকরণ করছি। তিনি উল্লেখ করেন, আমি সবাইকে আমার আন্তরিক প্রার্থনায় যোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, যাতে শিগগিরই শান্তি ও ন্যায়বিচারের একটি ভোর উদিত হয়।
অঞ্চলের অন্যান্য প্রেক্ষাপট
ইসরাইলি প্রশাসন জানিয়েছে, যুদ্ধের পর প্রায় ৮৭ শতাংশ উত্তরের সীমান্ত শহরের বাসিন্দা ঘরে ফিরেছে। স্পেন ও নরওয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কর রাজস্ব ক্ষতিপূরণে যৌথ তহবিলের ঘোষণা দিয়েছে। ইসরাইলি সেনারা জানিয়েছে, গতকাল ২৩০টি মানবিক সহায়তার ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে; তবে জাতিসঙ্ঘ বলেছে, প্রতিদিন ৬০০টি ট্রাক প্রয়োজন। বন্দীমুক্ত করতে ব্যর্থতার স্বীকারোক্তি দিয়ে ইসরাইলি সরকারের বন্দিবিষয়ক প্রতিনিধি গাল হির্শ বলেছেন, বন্দীদের ক্ষতি এড়াতে সেনারা ধীরগতিতে অভিযান চালাচ্ছে।