[caption id="attachment_7650" align="aligncenter" width="600"]
ছবি: সংগৃহীত [/caption]
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় ইসরায়েলের সহিংসতা বন্ধ ও বৃহত্তর অঞ্চলে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি নেতাদের সতর্ক করেছেন যেন তারা এমন কোনো পদক্ষেপ না নেন যার ফলে সাধারণ মানুষ তাদের জীবন ও ভবিষ্যৎ দিয়ে মূল্য দিতে বাধ্য হয়।
হামাস এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবরের আক্রমণের দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে, গুতেরেস বন্দিদের শর্তহীন মুক্তির আহ্বানও পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
গুতেরেস গাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, ‘সকলের কষ্ট শেষ করতে হবে। এটি এমন একটি মানবিক দুর্যোগ যা কল্পনার বাইরে।’
দুই বছর আগে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২৫০-এর বেশি ইসরায়েলি ও বিদেশি নিহত হন। সেই সঙ্গে ২৫০-এর বেশি মানুষ (যার মধ্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ রয়েছে) অপহৃত হন।
এরপর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার হামলা শুরু করে। এতে গত দু’বছরে প্রায় ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ মনে করে, এই সংখ্যা কম হতে পারে। কারণ ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের নিচে হাজার হাজার মৃতদেহ থাকতে পারে।
হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার ঘটনা সম্পর্কে গুতেরেস বলেন, ‘সেই অন্ধকার দিনের ভয়াবহতা আমাদের স্মৃতিতে চিরস্থায়ীভাবে বেঁচে থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুই বছর পরও বন্দিরা অসহনীয় অবস্থায় রয়েছেন। আমি বন্দিদের পরিবার ও বেঁচে থাকা মানুষদের সঙ্গে দেখা করেছি, যারা তাদের কষ্টের কথা শেয়ার করেছেন।’
গুতেরেস সকলকে আহ্বান জানান, বন্দিদের শর্তহীন ও অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক প্রক্রিয়া গ্রহণের পদক্ষেপ নিতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে রক্তপাত রোধ করা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক শান্তি প্রস্তাবকে গুতেরেস ‘একটি সুযোগ, যা দুঃখজনক এই সংঘাত শেষ করার জন্য কাজে লাগানো উচিত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন সব সময় মানা আবশ্যক।’