গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিসরে বৈঠক, তথ্য প্রকাশ।


গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে মিশর পৌঁছেছেন উভয় দেশের প্রতিনিধিরা। এ আলোচনা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটি ঘিরে গত দুই বছর ধরে যে অমানবিক যুদ্ধ চলছে তার অবসান হবে এবং জিম্মিরা ঘরে ফিরবে বলে আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের শীর্ষ কূটনীতিক আলোচনার প্রথম কয়েকদিনকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আখ্যাও দিয়েছেন।

আজ সোমবার আল জাজিরা জানিয়েছে, হামাসের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটির নির্বাসিত নেতা খলিল আল-হায়া। তিনি গতকাল রোববার মিশর পৌঁছেছেন। তিনি সম্প্রতি কাতারে ইসরায়েলি হত্যা প্রচেষ্টার হামলা থেকে বেঁচে যান। তার নেতৃত্বেই হামাসের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের খুঁটিনাটি নিয়ে কথা বলবেন। গত মাসে কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণে বেঁচে ফেরার পর হায়ার এটিই প্রথম মিশর সফর।

লোহিত সাগর তীরবর্তী অবকাশযাপন কেন্দ্র শার্ম আল-শেখে আলোচনায় অংশ নিতে ইসরায়েলের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন রন ডারমার। তিনি কৌশলবিষয়ক মন্ত্রী।  ৫৪ বছর বয়সী ডারমার নেতানিয়াহুর সবচেয়ে কাছের ও বিশ্বস্ত ব্যক্তি। আজ সোমবার মিশর যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করবেন ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধ, বাকি জিম্মিদের মুক্তি ও ভূখণ্ডটির ভবিষ্যৎ নিয়ে ট্রাম্প সম্প্রতি ২০ দফা একটি পরিকল্পনা হাজির করেছেন। হামাস ট্রাম্পের প্রস্তাবের কিছু শর্তে মেনে নিতে সম্মত হয়েছে। সশস্ত্র এ গোষ্ঠীটি দীর্ঘদিন ধরেই আত্মসমর্পণের প্রস্তাব খারিজ করে আসছিল। এরপর আলোচনার আহ্বান জানানোর পর মিসরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

হামাসের প্রতিক্রিয়াকে স্বাগত জানান ট্রাম্প। বলেন, ‘দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য’ তারা প্রস্তুত, হামাস তা দেখিয়েছে বলে তার বিশ্বাস।

এরপর তিনি ইসরায়েলকে গাজায় অবিলম্বে বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে বলেন। যদিও ইসরায়েল তার কথা না শুনে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে হামলা অব্যাহত রেখেছে।

মিশরে আলোচনা সম্বন্ধে অবগত এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগে একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তি তৈরি করার দিকেই আলোচকরা নজর দেবেন। এবারেরটি আগের আলোচনাগুলোর থেকে আলাদা হবে। আগের আলোচনাগুলোতে দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ধাপে ধাপে কার্যকরের। সেসব ক্ষেত্রে প্রথম ধাপের ব্যাপারে ঐকমত্য হতো, এরপর যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপগুলো নিয়ে আরও আলোচনা লাগতো।

এবিসি’র ‘দিজ উইক’ অনুষ্ঠানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, জিম্মি মুক্তিসংক্রান্ত চুক্তি কখন চূড়ান্ত হবে তার কোনো সময়সীমা ঠিক হয়নি। তবে আলোচনা কয়েক সপ্তাহ এমনকী কয়েক দিনও চলতে পারে না। এটি তাড়াতাড়ি হচ্ছে এমনটাই দেখতে চাই আমরা।

 

Leave a Reply

Scroll to Top