
খুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আজ সকালে খুলনা রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রিন্স (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার ওহিদ খান বলেন, ‘স্টেশনের প্লাটফর্ম থেকে যে যুবকের মররদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তিনি স্টেশন সংলগ্ন একটি হোটেলের কর্মচারী ছিলেন।’
এর আগে সোমবার রাত ৯টার দিকে রূপসার জাবুসার চৌরাস্তা মোড়ের কাছে আইডিয়াল কোম্পানির পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির হাত-পা বাঁধা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘ট্রিপল নাইন থেকে ফোন পেয়ে অর্ধগলিত অজ্ঞাত এক পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিন থেকে পাঁচ দিন ধরে মৃত ব্যক্তি পানিতে ছিল। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের পাশ থেকে পুলিশ এ অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে। মৃতের বয়স আনুমানিক ৮০ বছর।
খানজাহান আলী সেতুর দিকে যাওয়ার পথে সড়কের পাশে ওই বৃদ্ধ পড়েছিলেন। স্থানীয়রা মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। ধারণা করা হচ্ছে কোনো যানবাহন ও বৃদ্ধকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে গেছে।
এদিকে, বটিয়াঘাটায় নিজ বাড়ির পুকুরে পড়ে জোসনা কুন্ডু নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকালে মরদে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত রবিবার রাতে কাজ শেষে বাড়িতে প্রবেশের সময় তিনি পুকুরে পড়ে মারা যান। মৃত জোসনা কুন্ডু উপজেলার কুন্ডুপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইন্দ্রজিত কুন্ডুর স্ত্রী।
বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রহিম জানান, জোসনা কুন্ডু শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। গত রবিবার রাত ৮টার দিকে তিনি বাড়ির সামনে একটি পুকুরে থালাবাটি পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। অসুস্থতার কারণে পুকুরে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়।
কেএমপির সহকারি পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) খোন্দকার হোসেন আহম্মদ বলেন, ‘আগের থেকে পুলিশ এখন অনেক সক্রিয়। আইন শৃংখলা রক্ষায় তারা কাজ করছে। সামনে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে জন্য পুলিশকে সতর্ক থাকার জন্য বলা হবে।’