ওমরাহ পালনকারীদের জন্য ১০টি আবশ্যিক শর্ত।


লাখ লাখ মুসলমানের কাছে ওমরাহ পালন সবসময়ই একটি স্বপ্ন। কিন্তু ভিসার জন্য আবেদন, হোটেলের ব্যবস্থা ও পরিবহণ বুকিং প্রক্রিয়ায় প্রায়শই বিভ্রান্তি ও জটিলতা তৈরি হয়। অনেকে বিভিন্ন হজ-ওমরাহ সংক্রান্ত এজেন্সির ওপর বেশি নির্ভর করেন, আবার অনেকে পর্যটন ভিসায় সৌদি গিয়ে ওমরা পালনের চেষ্টা করেন।

ওমরাহ পালনে নতুন নিয়ম চালু করেছে সৌদি আরব। সৌদি সরকারের নতুন এসব নিয়ম বিদেশি নাগরিকদের ভ্রমণ প্রক্রিয়াকে আরো স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল করবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে খালিজ টাইমস।

আজ শুক্রবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখন থেকে ভিসা আবেদন থেকে শুরু করে হোটেল, পরিবহন সবকিছুই সরকারি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে করতে হবে। এ ছাড়া মানতে হবে আরো অন্তত ১০ শর্ত।

এক. হোটেল বুকিং বাধ্যতামূলক : এখন থেকে ভিসার আবেদন করার সময়ই হোটেল বুক করতে হবে। অনুমোদিত হোটেল মাসার সিস্টেম বা নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে বেছে নিতে হবে।

দুই. আত্মীয়ের বাসায় থাকলে সৌদি আইডি লাগবে : পরিবার বা আত্মীয়ের বাসায় থাকার ক্ষেত্রে হোস্টের ইউনিফাইড সৌদি আইডি ভিসার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। সময় পরিবর্তন বা সফর পেছালেও একই আইডি সিস্টেমে হালনাগাদ করতে হবে।

তিন. পর্যটক ভিসায় ওমরাহ নয় : এখন থেকে পর্যটক ভিসায় ওমরাহ পালন করা যাবে না। যারা চেষ্টা করবেন, তাদের থামিয়ে দেওয়া হতে পারে। একইভাবে মদিনার রিয়াজুল জান্নাতেও প্রবেশ বন্ধ থাকবে।

চার. ওমরাহ ভিসা বাধ্যতামূলক : বাধ্যতামূলক ওমরাহ ভিসা সব হজযাত্রীদের নুসুক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে একটি ডেডিকেটেড ওমরাহ ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে, হয় ই-ভিসা হিসেবে অথবা অনুমোদিত অপারেটরদের মাধ্যমে প্যাকেজ বুকিং করে।

পাঁচ. কঠোর ভ্রমণসূচি নিয়ম : ভিসার সঙ্গে সফরসূচি জমা দিতে হবে, যা পরে পরিবর্তন বা স্থগিত করা যাবে না। নির্ধারিত সময়ের বেশি অবস্থান করলে জরিমানা দিতে হবে।

ছয়. কিছু দেশের জন্য ভিসা অন অ্যারাইভাল : যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা বা শেনজেন দেশগুলোর ভিসাধারীরা শর্তসাপেক্ষে ভিসা অন অ্যারাইভাল পাবেন। শর্ত হলো, আগে এসব দেশে অন্তত একবার ভ্রমণ করতে হবে এবং এবং ভিসার মেয়াদ এক বছর হতে হবে।

সাত. বিমানবন্দরে বুকিং যাচাই : আগমনের পর বিমানবন্দরে কর্তৃপক্ষ নুসুক বা মাসার সিস্টেমে থাকা হোটেল ও পরিবহন বুকিং যাচাই করবে। কোনো কিছু অনুপস্থিত থাকলে জরিমানা বা ভ্রমণে বাধা দেওয়া হতে পারে।

আট. অনুমোদিত ট্যাক্সি ও পরিবহন ব্যবহার বাধ্যতামূলক : পথচারী ট্যাক্সি বা যে কোনো গাড়ি নেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে অনুমোদিত ট্যাক্সি, বাস বা ট্রেন ব্যবহার করতে হবে।

নয়. হারামাইন ট্রেনের নির্দিষ্ট সময় : হারামাইন এক্সপ্রেস ট্রেন রাত ৯টার পর আর চলে না। তাই এ সময়ের পর এলে আগে থেকেই অনুমোদিত পরিবহন বুক করতে হবে। অন্যথায় হজযাত্রীরা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

দশ. নিয়ম ভাঙলে কড়া জরিমানা : যে কোনো নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য ভারী জরিমানা রয়েছে। নিয়ম ভঙ্গের জন্য কর্তৃপক্ষ হজযাত্রী এবং এজেন্ট উভয়ের ওপরই বড় ধরনের জরিমানা আরোপ করতে পারে।

Leave a Reply

Scroll to Top